ভারতের ঘুম উড়িয়ে দিল পাকিস্তানের ফাতেহ

ভারত যখন পাকিস্তানের দিকে একের পর এক আঘাত হানছে, তখন পাকিস্তানও যেন নীরব ঘুমন্ত সিংহ নয়। জবাব দিচ্ছে আগুনের নিশানা হয়ে। পাকিস্তানের ভয়ংকর ‘ফাতেহ’ ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজ এখন পুরো অঞ্চলে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এটি শুধু অস্ত্র নয়, ছুড়ে দেয়া হচ্ছে শত্রু শিবিরে ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ!
পাকিস্তানের ফাতেহ সিরিজে আছে দুটি প্রধান সংস্করণ। এগুলো হচ্ছে ফাতেহ-১ এবং ফাতেহ-২।
সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফাতেহ-১ হলো শর্ট-রেঞ্জ গাইডেড মিসাইল। এই ক্ষেপনাস্ত্র ১৪০ থেকে দেড়শ কিলোমিটার দুরে পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে। এই দুরত্বে যেকোনো শত্রু অবকাঠামো নিমেষেই গুঁড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে সীমান্তের যুদ্ধক্ষেত্রে, এই ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎগতিতে জবাব দেয়া যায়।
এই মিসাইলের সবচেয়ে বড় ভয়ংকর দিক, ইনারশিয়াল ও GPS গাইডেন্স সিস্টেম। এই প্রযুক্তির কারনে ক্ষেপনাস্ত্রটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যেখানে পড়ে, সেখানে শুধুই ধ্বংস। এটি পাকিস্তানের স্মার্ট আর্টিলারি নামে বিখ্যাত।
এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে হাই-এক্সপ্লোসিভ ফ্র্যাগমেন্টেশন ওয়ারহেড যা যুদ্ধের মাঠে সাঁজোয়া যান থেকে এমনকি শত্রুর স্থাপনাও ছারখার করে দিতে পারে।
শুধু ফাতেহ-১ নয়, পাক বাহিনী এখন মাঠে নামাচ্ছে ফাতেহ-২ নামে আরেক ধরনের ক্ষেপনাস্ত্র। যেটি আরো উন্নত, আরও বিধ্বংসী।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ৪০০ কিলোমিটার (প্রায় ২৪৮ মাইল) দূর পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সামরিক ঘাঁটিগুলোর জন্য এটি এক ঘোরতর হুমকি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—ফাতেহ-২ এর মোতায়েন মানেই ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ফাটল ধরানো!
আরবি ভাষায় ‘ফাতেহ’ শব্দের অর্থ—‘জয়ী’ বা ‘বিজয়ী’।
এ যেন নামেই লুকিয়ে আছ এক ভয়ংকর সংকেত। এটি এসেছে জিততে, ধ্বংস করতে, এবং প্রতিপক্ষকে দমিয়ে দিতে।
‘ফাতেহ’ ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি। চীনের A-100 রকেট সিস্টেম অনুসরণ করে এটি বানিয়েছে পাকিস্তানীরা। আন্তর্জাতিক বাজারে একেকটি ফাতেহ ক্ষেপণাস্ত্রের আনুমানিক দাম ১.৫ থেকে ২ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় আড়াই কোটি টাকা।
সূত্র: আল জাজিরা
এসি//