ছোট অসুবিধা নাকি বড় সংকেত পেটে ব্যথা
প্রায় সবাই জীবনে একবার না একবার ভুগেছেন পেটের ব্যথায়। অনেক সময় এটি সাময়িক অস্বস্তি মাত্র। আবার কখনও বড় স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিতও হতে পারে। তাই শুধু ভুগে বসে থাকা নয় পেটের ব্যথা মোকাবেলায় কি করা উচিত এবং কি এড়ানো উচিত তা জানা জরুরি, না হলে হিতে বিপরীতও ঘটতে পারে।
কারণ-
পেট ব্যথা কখনও শুধু খাওয়া-দাওয়ার সমস্যার ফল নয়। এর বিভিন্ন কারণ হতে পারে:
• অজীর্ণ বা হজমের সমস্যা: অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার, ফাস্টফুড বা হঠাৎ বেশি খাবার খাওয়া।
• সংক্রমণ: ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের কারণে।
• গ্যাস বা অম্বল জমা: অতিরিক্ত গ্যাস, কখনও কখনও হালকা ফুলে যাওয়া।
• এপেন্ডিসাইটিস: ডানপাশের তলপেটে তীব্র ব্যথা।
• কিডনি বা গলব্লাডার সমস্যা: কখনও পাথর বা প্রদাহের কারণে।
• স্ট্রেস ও মানসিক চাপ: মাইন্ড-বডি কানেকশন; মানসিক চাপ অনেক সময় পেটের সমস্যা বাড়ায়।
প্রাকৃতিক ও সহজ পদক্ষেপ-
ঘরোয়া ও সহজ পদক্ষেপে অনেকটা আরাম পাওয়া সম্ভব:
• পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
• হালকা খাবার খান: ভাত, স্যুপ, কলা, রুটি।
• গরম সেঁক বা হিট প্যাড ব্যবহার করে পেশি শিথিল করুন।
• হালকা হাঁটা করুন; হজম ভালো হয় এবং গ্যাস কমে।
• হরবাল চা-আদা, পুদিনা বা জিঞ্জার চা সাহায্য করে।
যা করা উচিত নয়-
• অল্প অজুহাতে পেইনকিলার ব্যবহার করবেন না।
• তেল-মশলাযুক্ত বা ফাস্টফুড খাবার এড়ান।
• ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়ানো উত্তম।
ডাক্তার যখন দেখাবেন-
নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
• হঠাৎ তীব্র পেটের ব্যথা, বিশেষ করে ডানপাশের তলপেটে।
• জ্বর, বমি বা রক্তমিশ্রিত বমি।
• প্রস্রাবে রক্ত বা অত্যধিক ব্যথা।
• পেট ফোলা ও চাপ দিলে যন্ত্রণা।
অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, “পেটের ব্যথা কখনও শুধু হজমের সমস্যা নয়। দীর্ঘস্থায়ী বা ক্রমবর্ধমান ব্যথা হলে নিজেই ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তার দেখানো জরুরি।” “ছোট ছোট খাবার খান, বেশি তেল-মশলা এড়ান, পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এতে হজম সুস্থ থাকে এবং পেটের অসুবিধা কমে।”
পেট ব্যথা সাধারণ হলেও প্রাথমিক সতর্কতা এবং জীবনধারার পরিবর্তনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তীব্র হঠাৎ বা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা হলে ঘরোয়া ব্যবস্থা নয় ডাক্তারই একমাত্র নিরাপদ উপায়।
• হালকা খাবার + পর্যাপ্ত পানি = হজম ঠিক রাখে।
• হরবাল চা + হালকা হাঁটা = গ্যাস ও ব্যথা কমায়।
• তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা = ডাক্তার দেখান।
এসকে//