আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

বিশ্বে করোনায় একদিনে মৃত্যু ১৪ হাজারের বেশি

বিশ্বে গেল ২৪ ঘন্টায় আবারও ১৪ হাজারের বেশি মানুষের জীবন নিলো করোনাভাইরাস। একই সময়ে প্রায় সাড়ে আট লাখের মতো মানুষের শরীরে মিললো ভাইরাসটি।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে বুধবার করোনায় মারা গেছে আরও ১৪ হাজার ১৭০ জন এবং নতুন করে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আট লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৩ জনের শরীরে।

বুধবার করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে ছিল ভারত। গেল ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংক্রমণ ও মৃত্যু দেখেছে দেশটি। বুধবার বিশ্বের সর্বোচ্চ চার লাখ ১২ হাজার ৬১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ভারতে। একই সময়ে রেকর্ডসংখ্যক তিন হাজার ৯৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা দেশটিতে মোট সংক্রমণ হয়েছে দুই কোটি সাড়ে ১০ লাখের বেশি। মোট মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৩০ হাজার জনের বেশি।

বুধবার ব্রাজিলে করোনায় মারা গেছে ২৮শ’ জনের কাছাকাছি। একই সময়ে ল্যাটিন অ্যামেরিকার দেশটিতে পৌনে এক লাখ মানুষের শরীরের মিলেছে ভাইরাসটি। আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে করোনায় মোট মৃত্যু চার লাখ ১৫ হাজারের কাছাকাছি। সংক্রমিত হয়েছে মোট এক কোটি ৪৯ লাখের বেশি মানুষ।

বুধবার করোনায় আরও ৭৩০ জন মারা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। বিশ্বে সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে মোট মৃত্যু ছাড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৯৩ হাজার। এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছে তিন কোটি ৩৩ লাখের বেশি মানুষ।

আর্জেন্টিনায় প্রতিদিনের মৃত্যু আর সংক্রমণ হঠাৎই বেড়ে গেছে। বুধবার অন্তত ৬৬৩ জনের মৃত্যু দেখেছে দেশটি। শনাক্ত হয়েছে ২৪ হাজারের বেশি মানুষ।

এদিকে, করোনা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি দেশে। করোনা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে নেপাল, থাইল্যান্ড ও লাওসে।

বুধবার নেপালে সর্বোচ্চ আট হাজার ৬শ’ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে অন্তত ৫৮ জন। হঠাৎ এমন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে চাপে পড়েছে দুর্বল অর্থনীতির দেশটি।

করোনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে লাওস ও থাইল্যান্ডেও। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে লাওস করোনা নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। দেশটিতে চলতি বছরের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ৬০ জন করোনা রোগী ছিল। গেল কয়েকদিনে শনাক্ত ছাড়িয়ে গেছে এক হাজার। বুধবার থাইল্যান্ডে করোনা শনাক্ত হয় এক হাজারের বেশি মানুষের শরীরে।

বিশ্বে করোনায় মোট সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ১৫ কোটি ৫৮ লাখের ওপর। মোট মৃত্যু ৩২ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি। আর প্রাণঘাতি ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে বিশ্বের ১৩ কোটি ৩২ লাখের বেশি মানুষ।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন