দেশকে ধ্বংস করতেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র: এলজিআরডি মন্ত্রী
উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে দেশকে ধ্বংস এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে বিতর্কিত করতেই স্বাধীনতার পরাজিত গোষ্ঠি দেশ-বিদেশে বসে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র করছে। বললেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আজ শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত সারা দেশে একযোগে 'জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২১' এর উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
এ বছর জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের স্লোগান 'মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, ঘরে ঘরে গ্রন্থাগার'।
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, বাঙালিকে নৃসংশভাবে হত্যা করেছে, নারীর সম্ভ্রম লুণ্ঠন করেছে, জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করে হত্যাকারীদের আশ্রয়- প্রশ্রয় দিয়েছে এবং যারা দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় তারা এবং আজকের ষড়যন্ত্রকারীরা একই সূত্রে গাঁথা।
ষড়যন্ত্রকারীরা মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশেকে বিশ্ববাসীর নিকট বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি গল্প বানিয়ে দেশের মানুষকে বোকা বানানো যাবে না। দেশের মানুষ জানে এটি কার এবং কিসের আলামত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অতীতের ন্যায় সকল ষড়যন্ত্র শক্তহাতে মোকাবেলা করা হবে বলে সতর্ক করেন মন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করেতে শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করছেন। তার নেতৃত্বে দেশ এখন বিশ্ব উন্নয়নের রোল মডেলে রূপান্তরিত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিতর্কিত করা মানে গোটা জাতিকে বিতর্কিত এবং কলংকিত করার সামিল।
দেশে গুম-হত্যা এবং নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী বিএনপি-জামায়াত দল এখন সামনা-সামনি মোকাবেলা করতে না পেরে ভাইরাসের রুপ ধারণ করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে অদৃশ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মো. তাজুল ইসলাম।
বিভ্রান্ত ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে যাতে বিভাজন তৈরি না হয় সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানিয়ে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকলেও একটি জায়গায় কম্প্রোমাইজ করার কোনো সুযোগ নেই, আর তা হচ্ছে দেশ, মানুষ এবং দেশের উন্নয়ন।
বই পড়ার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, লাইব্রেরীতে বসে পড়ার আবেদন কখনো শেষ হবে না। শতবর্ষ আগে যে সমস্ত মনীষীদের গল্প শুনেছি বা জীবনী আমরা পড়েছি তারা সবাই বই পড়ার মাধ্যমে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করেছেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ বদরুল আরেফীন। সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণগ্রন্থাগারের মহাপরিচালক মোঃ আবু বকর সিদ্দিক।
এস