আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

ভারতে আটকানো যাবে না করোনার তৃতীয় ঢেউ; কেন্দ্র

করোনার দ্বিতীয় ঢেউতেই জেরবার পুরো ভারত। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা তৈরি করছে নতুন রেকর্ড। অক্সিজেন সংকট ও হাসপাতাল বেডের ঘাটতিতে হাহাকার দেশজুড়ে। আর এরই মধ্যে আরও শঙ্কার কথা শোনাল ভারত সরকার।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, বুধবার মানুষকে সাবধান করে দেশটির কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ যে হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে কোনভাবেই আটকানো যাবে না তৃতীয় ঢেউ। করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বেই, একে আটকানো যাবে না। তবে কখন তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় বিশেষজ্ঞরা।

বুধবার ভারত সরকারকে পরামর্শ দেওয়া উপদেষ্টা কমিটি জানিয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউ অপ্রতিরোধ্য। টিকায় বদল ঘটিয়ে একে আরও উন্নত করে করোনার নতুন ধরণকে সামলানো যেতে পারে। তবে কোনভাবেই সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউকে আটকানো যাবে না।

বুধবার এ সংক্রান্ত একটি সরকারি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানী কে বিজয়রাঘবন। তিনি জানিয়েছেন, তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী। এই মুহূর্তে ভাইরাস যে হারে ছড়াচ্ছে তাতে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আসতে আর বেশি দেরি নেই তা স্পষ্ট। তবে কবে এবং কীভাবে এই ঢেউ আছড়ে পড়বে তা এখনও অস্পষ্ট। আশা করা যাচ্ছে ধীরে ধীরে আসবে। তবে তৈরি থাকতে হবে। আমাদের ভ্যাকসিনগুলোকে আপডেট করতে হবে।

রাঘবন আরো জানান, করোনার নতুন ধরণ বা স্ট্রেইন প্রথম স্ট্রেইনের মতোই ছড়িয়ে পড়ে। তবে নতুন ধরণ অনেক দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে যে ধরণ রয়েছে তার জন্য এই ভ্যাকসিন কার্যকরী। নতুন প্রজাতি পুরো বিশ্ব ও ভারতে তৈরি হবে আর সে জন্যই ভ্যাকসিন আপডেট করতে হবে। তবে তাতে তৃতীয় ঢেউ ঠেকানো যাবে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় ভারতের কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞরা।

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা এখনও সেভাবে সামলে উঠতে পারেনি ভারত। অক্সিজেনের অভাবে, হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে বা চিকিৎসার অভাবে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। টিকা নিয়ে বাঁচার চেষ্টায় বাদ সেধেছে টিকার ঘাটতি। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের খবর চিকিৎসকেদের উদ্বেগ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন