গণতন্ত্রের দাবিতে উত্তাল মিয়ানমার
সামরিক একনায়কতন্ত্র চাই না, গণতন্ত্র চাই, এমন স্লোগানে এখন উত্তাল মিয়ানমার। দেশটিতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার পরই রোববার সকালে জান্তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামে সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে ইয়াঙ্গুনে।
আল-জাজিরাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার সকাল থেকেই সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
আন্দোলনকারীরা দেশটির ক্ষমতাচ্যূত রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সুচির মুক্তি দাবি জানিয়ে সামরিক সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। এ সময় লাল রঙের বেলুন নিয়ে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি-এএলডির পক্ষে স্লোগান দেয় তারা।
শনিবার থেকে মিয়ানমারের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে জান্তা সরকার। এতে ফুঁসে উঠেছে জনতা। দিনে দিনে জোরালো হচ্ছে সামরিক সাশনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে ফুল ও পানির বোতল নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা করতে দেখা গেছে।
বিক্ষোভে এখনো পর্যন্ত কোন ধরনের সহিংসতা ঘটেনি। আগে থেকেই সড়কে অবস্থান নিয়েছে সেনা ও পুলিশ। কিছু স্থানে মিছিল ঘুরিয়ে দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। তবে তারা চড়াও হয়নি।
মিয়ানমারে সামরিক সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।
৩৭ বছর বয়সী আন্দোলনকারী মায়ো উইন জানান, সামরিক সরকারের পতন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত লড়াই করে যাব।
এসএন