আর্কাইভ থেকে ইউরোপ

ইউক্রেন দূতাবাসগুলোতে ‘রক্ত ভেজা ভীতিকর’ উড়ো পার্সেল

ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ইউক্রেন দূতাবাসে উড়ো পার্সেল পাঠানো হয়েছে। এসব পার্সেলের কোনোটিতে বিস্ফোরক, আবার কোনোটিতে বিভিন্ন পশুর রক্তাক্ত চোখ পাঠানো হয়েছে। তবে কে বা কারা এসব পার্সেল পাঠিয়েছে, তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি এখনো।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন’র এক প্রতিদেবনে থেকে জানা গেছে, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত ১৭টি দূতাবাস কনস্যুলেটে এসব পার্সেল পাঠানো হয়েছে। কুলেবা জানিয়েছেন—স্পেনে অবস্থিত ইউক্রেন দূতাবাস প্রথম এমন পার্সেল পায়। এরপর হাঙ্গেরি, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, ইতালি, অস্ট্রিয়াতে ইউক্রেন দূতাবাস এবং নেপলস ও ক্রাকোতে অবস্থিত ইউক্রেনের কনস্যুলেট জেনারেলের কার্যালয় এমন পার্সেল পেয়েছে।

কুলেবা গতকাল শুক্রবার সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ভীতি ছড়াতেই এ ধরনের কাজ করা হয়েছে।’ তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের মোট ১৭টি দূতাবাস ও কনস্যুলেটে এমন পার্সেল পাঠানো হয়েছে। এসব পার্সেলের কোনোটায় বোমা হামলার মিথ্যা হুমকি আবার কোনোটায় ছিল গরু বা শূরসহ বিভিন্ন প্রাণীর রক্তাক্ত চোখ।’

কুলেবা আরও বলেছেন, ‘এটি শুরু হয়েছিল স্পেনে অবস্থিত ইউক্রেন দূতাবাসে একটি বিস্ফোরক সংবলিত চিঠি পাঠিয়ে। এবং এর পরপরই আরও কয়েকটি অবস্থানে এমন উড়ো পার্সেল পাঠানো হয়। বিষয়টি খুবই অদ্ভুত। বলতে পারেন, এটি খুবই নোংরা কাজ।’

এদিকে সন্দেহজনক পার্সেল পাওয়ার পর ইউরোপে ইউক্রেনের দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলো কঠোর নিরাপত্তার আওতায় এনেছে। গত শুক্রবার চেক প্রজাতন্ত্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শহর ব্রনোতে ইউক্রেনীয় কনস্যুলেটে কোনো একটি প্রাণীর অঙ্গসহ একটি সন্দেহজনক পার্সেল পাওয়ার পরপরই সেটিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে খালি করা হয়,জানিয়েছে চেক পুলিশ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন