আর্কাইভ থেকে ফুটবল

বিতর্কিত সেই পেনাল্টির সময়ে মাঠে ছিল দুটি বল!

ইউরো ২০২০-এ সবথেকে বড় চমক ছিল ড্যানিশ রূপকথা। সেই রূপকথার সমাপ্তি ঘটেছে বিতর্কিত এক পেনাল্টিতে। সেমিফাইনালের ম্যাচে ইংল্যান্ড সেই বিতর্কিত পেনাল্টিতে ভর করেই পা রেখেছে ফাইনালে। তবে বিতর্কিত সেই পেনাল্টির আগ মুহূর্তেই মাঠে একই সময়ে দুটি বল ছিল। তবে এরপরেও খেলা বন্ধ করেননি রেফারি।
 
নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে সমতার পর অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়ায়। সেই সময়ের প্রথমার্ধে রাহিম স্টার্লিং ডেনমার্কের বক্সে পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তিও ইংল্যান্ডের পক্ষে পেনাল্টির রায় বহাল রাখে। বিতর্কিত সেই পেনাল্টি আসলেই পেনাল্টি ছিলো কিনা সে বিতর্কে না গেলেও বিতর্ক শেষ হবে না। কারণ পেনাল্টি পাবার কয়েক সেকেন্ড আগেই নিয়মানুসারে থেমে যাওয়ার কথা ছিল খেলা। 

অতিরিক্ত সময়ে স্টার্লিং বল নিয়ে বক্সে ঢোকার সময় মাঠের ভেতর অতিরিক্ত আরও একটি বল ছিল। কিন্তু রেফারি খেলা থামাননি। এর কয়েক সেকেন্ড পরই পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। বিভিন্ন ফুটেজে এমন এমনটাই দেখা যাচ্ছে। ফিফার ২০২০-২১ এর নিয়মানুসারে, খেলা চলাকালীন সময়ে যদি মাঠে অতিরিক্ত বলের উপস্থিতি থাকে, বা কোন বস্তু অথবা প্রাণীর প্রবেশ ঘটে এবং তা যদি খেলায় বিঘ্ন ঘটায় তাহলে রেফারি খেলা বন্ধ করবেন (এবং সেখান থেকেই আবার খেলা শুরু করবেন)।

তবে অতিরিক্ত সেই বল খেলায় বিঘ্ন ঘটিয়েছিল কিনা তা ফুটেজ ঘেটে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যদিও বা অতিরিক্ত বলের উপস্থিতি সম্পর্কে অবহিত খোদ ইংল্যান্ড কোচও। ম্যাচ শেষে গ্যারেথ সাউথগেট বলেন, ‘মাঠে অতিরিক্ত একটা বল দেখেছি। জানি না ওটা কীভাবে ঢুকল, এবং কী করা যেত। কিন্তু আমি ইংল্যান্ডের ম্যাচটা দেখেছি যেখানে ওটা ঘটলেও গোল বাতিল হয়নি। পেনাল্টি কীভাবে হলো সেটা দেখিনি। তবে অনেকেই এ নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করেছেন।’

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন