৩৫ বছর ধরে আলাদা থাকেন বলিউডের জনপ্রিয় তারকা রণধীর-ববিতা। একাই দুই মেয়েকে বড় করেছেন ববিতা, তবে সব প্রয়োজনে বাবাও পাশে থেকেছেন। সম্প্রতি বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ এবং নিজের শৈশব নিয়ে অভিনেত্রী করিনা কাপুর খান।
বাবা-মায়ের সম্পর্ক যে জোরালো নয়, তা খুব অল্প বয়সে বুঝে গিয়েছিলেন করিশ্মা-করিনা, এতদিন পর খোলসা করলেন বেবো নিজেই।
১৯৭১ সালে বেশ ধুমধাম করে বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা রণধীর কাপুর ও অভিনেত্রী ববিতার বিয়ে হয়। এই দম্পতি ১৯৮৮ সাল থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন। কিন্তু তারা বিবাহবিচ্ছেদ করেননি। তাদের দুই মেয়ে বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা ও কারিনা মা ববিতার সঙ্গেই থাকতেন।
এ বিষয়ে কারিনার এক সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত জানিয়ে ভারতের গণমাধ্যম মিড ডে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে– 'মা আমার সেরা বন্ধু। তবে বাবাকে অনেক শ্রদ্ধা করি এবং ভালোবাসি।
ওই সাক্ষাৎকারে কারিনা বলেন, 'আমার বাবা-মায়ের একটি সুন্দর সম্পর্ক রয়েছে। এটি জরুরি না যে, তাদের এক ছাদের নিচে একসঙ্গে থাকতে হবে। আমার বাবা-মাও তাই করেছেন। ছেলেবেলায় কারিশমা ও আমি বিষয়টি বুঝতে পেরেছি। প্রায় ৩৫ বছর ধরে দেখছি, বাবা-মা সব ব্যাপারেই আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। যখন তাদের একসঙ্গে প্রয়োজন হয়, তখন তারা একসঙ্গে হয়েছেন। তবে তারা দিনের পর দিন একসঙ্গে থাকেননি।'
১৯৭১ সালের ৬ নভেম্বর বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন রণধীর কাপুর এবং ববিতা কাপুর। ‘আজ অউর কাল’ ছবির মাধ্যমে সিনেমায় অভিষেক হওয়ার পরই বিয়ে সেরে ফেলেন রণধীর। ছবিতে রণধীরের বিপরীতে ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ববিতা কাপুর। পরের বছর ‘জিত’ ছবিতে একসঙ্গে দেখা যায় দু'জনকে।
আরও পড়ুনঃ
১৯৮৮ সালে রণধীর এবং ববিতা আলাদা থাকতে শুরু করেন। হিন্দুস্তান টাইমসে দেয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা রণধীর কাপুর জানিয়েছিলেন, তিনি প্রচুর নেশা করতেন এবং রাতে মদ্যপ অবস্থায় দেরি করে বাড়ি ফিরতেন। তার এভাবে জীবনযাপন ববিতার একেবারেই পছন্দ ছিল না, যদিও তারা প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। তাই তারা সিদ্ধান্ত নেন আলাদা থাকার। এরপরই তিনি মা-বাবার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। ববিতার তাদের দুই মেয়ে করিশ্মা ও করিনাকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করে। বর্তমানে তাদের সন্তান সুপ্রতিষ্ঠিত। একজন বাবা হিসেবে এর থেকে বেশি তিনি আর কিছুই চান না, মন্তব্য রণধীরের।
সূত্র: মিড ডে, হিন্দুস্তান টাইমস
এস