লাইফস্টাইল
ত্বকে না পড়ুক হাফ সেঞ্চুরির প্রভাব
বয়সের দিক থেকে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেললেও ত্বকে যেন তার কোনও ছাপ না পড়ে। এমন মনের ইচ্ছা কার না থাকে? কিন্তু শুধু যে বয়স বাড়ে, তা তো নয়। তার সঙ্গে বাড়তে থাকে নানা রকম শারীরিক এবং মানসিক জটিলতাও। তার উপর পরিবেশ দূষণের প্রভাব তো আছেই। তাই ৪০-এর পর থেকেই ত্বক কেমন যেন বুড়িয়ে যেতে থাকে। অনেকেই চামড়া কুঁচকে যাওয়া, বলিরেখার সমস্যা, কালচে ছোপের সমস্যায় ভোগেন। তাই চর্মরোগ চিকিৎসকদের মতে, ত্বকের সমস্যা শুরু হওয়ার আগে থেকেই যত্ন নেয়া প্রয়োজন।
৫০-এর পর ত্বকের যত্নে কী কী বিষয় মাথায় রাখবেন?
যেহেতু এই বয়সটা মহিলাদের ঋতুবন্ধের সময়, তাই হরমোনের নানা পরিবর্তনের প্রভাব পড়ে ত্বকের উপর। এ সময় ত্বক বেশি শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই শরীরে পানির ঘাটতি পূরণের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। পঞ্চাশ পরবর্তী বা মেনোপজের সময় ত্বকের যত্ন নেয়া কঠিন। কারণ এ সময় ত্বক শুষ্ক হতে শুরু করে। এস্ট্রোজেন কম ক্ষরণ হওয়ায় ত্বকে দাগ পড়তে শুরু করে। তবে কিছু পদ্ধতি প্রয়োগ করে সহজেই ত্বকের কিছু উন্নতি সাধন করা সম্ভব। মেনোপজের সময় ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন ব্যাহত হয়। ত্বকের নিচে ফ্যাট কমতে শুরু করে। এছাড়া হরমোনগত পরিবর্তনও ত্বকে পরিবর্তন আনে। এ সময় ত্বকের পরিচর্যায় যা করণী-
নিয়মিত ক্লিনজার ব্যবহার
বয়স বাড়তে শুরু করলে ত্বকের ময়েশ্চার হারাতে শুরু করে। তাছাড়া ত্বক শুষ্ক হতে থাকে৷ তাই ভালো একটি ক্লিনজার দিয়ে নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করার অভ্যাস করতে হবে।
হাইড্রেট রাখুন ত্বককে
পঞ্চাশের পর ত্বক হাইড্রেটেড রাখাটা জরুরী। ঘন ক্রিম ব্যবহারে ত্বক হাইড্রেটেড রাখতে হবে। আপনার ত্বকের অয়েল গ্ল্যান্ডগুলো কার্যকর থাকেনা। তাই ঘন ক্রিম ব্যবহার করার অভ্যাস করুন।
ময়েশ্চারাইজা করুন ত্বককে
বয়স বাড়লে বলিরেখা দেখা দিতে আরম্ভ করে। চাইলেও এ বলিরেখা বাদ দিতে পারবেন না। তাই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করাটা জরুরী। সাধারণ ময়েশ্চারাইজারে কাজ না হলে ত্বকের ধরন অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন সিরাম বা ফেস অয়েল।
স্পট দূর করুন
হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেও ত্বকে কালচে ছোপ পড়ে। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা হঠাৎ কমে গেলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া সরাসরি রোদ লাগলেও ত্বকের এই ধরনের সমস্যা হয়। প্রাথমিক ভাবে ভাল মানের সানস্ক্রিন লোশন এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। কিন্তু সমস্যা যদি গুরুতর হয়, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভাল।
হাতের যত্ন নিন
হাতের পেছন ভাগে কোলাজেনের অভাবে রুক্ষতা দেখা দেয়৷ তাই হাতের প্রতি যত্নশীল হোন। বিশেষত রোদ থেকে হাত রক্ষা করুন। তাছাড়া পানি বা কঠোর কাজের সময়ে গ্লাভস ব্যবহার করুন।
চামড়া ঝুলে যাওয়া
একটা বয়সের পর মুখের পেশিগুলি আর আগের মতো থাকে না, স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়। সেই টান টান ভাব থাকে না বলেই ত্বক ঝুলে পড়ে। অনেকের আবার ‘ডাবল চিন’-এর সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে রেটিনলযুক্ত সিরাম বা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
স্পর্শকাতর ত্বক
ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়লে র্যাশ বা ব্রণর সমস্যা দেখা যায়। ত্বকের পিএইচ-এর ভারসাম্য নষ্ট হয়। এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত নয়।
এন্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খান
প্রচুর এন্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় এমন খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। এন্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ অনেক খাবারেই কোলাজেন পাওয়া যায়৷ বিশেষত গাঁজর, পুঁইশাকে কোলাজেন পাওয়া যাবে। তাই সবজি এবং এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল-ফলাদি গ্রহণ করুন।
স্ট্রেস কমান
স্ট্রেস হরমোন বিভিন্নভাবে ত্বকে প্রভাব ফেলে। তাই স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন। আপনি ইয়োগা কিংবা এক্সারসাইজের মাধ্যমে স্ট্রেস কমাতে পারেন। রাত জেগে থাকাটা একটি বাজে অভ্যাস। নিয়মিত ঘুম এবং পরিমিত বিশ্রামের মাধ্যমেও সম্ভব স্ট্রেস কমানো।
লাইফস্টাইল
শরীর হিমশীতল রাখতে ৫ মশলার বাজিমাত
গ্রীষ্মের সময় খাবারে তেল মশলা এড়িয়ে চলা উচিত। বেশিরভাগ মানুষই তেমনটাই বিশ্বাস করেন। তবে জানেন কী, রান্নাঘরের বেশ কয়েকটি মশলাই হয়ে উঠতে পারে গরমের বিরুদ্ধে অস্ত্র। প্রতিটি রান্নাঘরে পাওয়া এই সাধারণ মশলাগুলি শরীরের একাধিক উপকারের পাশপাশি শরীরে ঠান্ডা রাখে।
ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা প্রায় প্রত্যেকেরই। প্রচণ্ড গরমে শরীরে দেখা দিচ্ছে একাধিক রোগের প্রকোপ। ফলে এই সময় শরীর ঠান্ডা রাখা অত্যন্ত জরুরী। শরীর ঠান্ডা রাখতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি মশলায়।
জিরা
জিরা প্রায় প্রতিটি বাড়ির রান্নাঘরেই থাকে। রান্নার অপরিহার্য এই মশলা শরীরের জন্যেই অত্যন্ত উপকারী। শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি শরীরে মেটাবলিজম বাড়ায়।
মৌরি
গরমের মৌসুমে মৌরি খুবই উপকারী। মৌরির একটি শীতল প্রভাব আছে। শরীর ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি এটি শরীরকে হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে। ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাসিয়ামের মতো উপাদানও মৌরিতে পাওয়া যায়।
ধনে
একাধিক গুণে সমৃদ্ধ ধনেও। এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে অত্যন্ত উপকারী। পাশাপাশি, ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে এটি শরীরকে ডি-হাইড্রেশন থেকেও রক্ষা করে। ধনে বীজের নির্যাসটিতে এমন কিছু যৌগ রয়েছে যা অ্যান্টি-হাইপারগ্লাইসেমিক। এটি শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এলাচ
শরীর ঠান্ডা রাখতে এলাচেরও জুড়ি মেলা ভার। শরীরকে ডিটক্সিফাইও করে এলাচ। এলাচের আরও অনেক গুণ রয়েছে। এটি শরীরের রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। হজমশক্তি ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
পুদিনা
পুদিনা শুধুমাত্র মশলা হিসেবেই নয়, আরও অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়। এটি গরমে খাওয়া খুবই ভাল। কারণ পুদিনা শরীরকে ঠান্ডা রাখে।
লাইফস্টাইল
চুল পড়ে যাওয়ার পেছনে থাকতে পারে এই ১০টি কারণ
অত্যধিক চুল পড়া কেবল চেহারা নয়, মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। মনে করা হয় একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে চুল পড়তে থাকে, কিন্তু তার আগেই অত্যধিক মাত্রায় চুল পড়ে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কী কী কারণে অত্যাধিক চুল পড়তে পারে? চলুন জেনে নেয়া যাক।
মানসিক চাপ: স্ট্রেস থেকেও চুল পড়তে পারে। টেলোজেন এফ্লুভিয়ামের জন্য চুল পড়ে। চুল ব্যাপকভাবে পাতলা হয়ে যায়।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: হরমোন চুলের বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি হরমোনগুলি কোনও কারণে ভারসাম্য হারায় তবে চুল অত্যধিক মাত্রায় ঝরে যেতে পারে। এছাড়া, অ্যান্ড্রোজেন, বিশেষ করে অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়ার চুলের ফলিকলগুলিকে দুর্বল করে দেয় যার ফলে চুল পড়া বেড়ে যায়। উপরন্তু, মেনোপজের সময় বা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহারের কারণেও হরমোনের নানান পরিবর্তন হয়, যা এন্ড্রোজেনের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে, যার ফলে চুল পড়তে পারে।
থাইরয়েড: স্কিনলজিক্স ও কসমেটোলজিস্ট রিতু খারিয়ানের মতে, ‘ থাইরয়েড হরমোন হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম উভয়ই চুলের বৃদ্ধিকে ব্যাহত করতে পারে। এইসব হরমোন চুলের বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতার ফলে চুলের ক্ষতি হতে পারে।”
পুষ্টির ঘাটতি: ভিটামিন ও খনিজগুলি চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং চুলকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। তাই শরীরে পুষ্টির অভাব থাকলে বা চরম ডায়েটের ফলেও পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা চুলের স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে।
শারীরিক আঘাত: গুরুতর শারীরিক আঘাত, যেমন দুর্ঘটনা, অস্ত্রোপচার, পোড়া বা গুরুতর অসুস্থতা চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে। এর ফলে হঠাৎই চুল পড়া বা পাতলা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: শারীরিক সমস্যার জন্য ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু এইসব ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে চুল পড়তে পারে। যেমন রক্ত পাতলা করার ওষুধ, গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট, এছাড়া বেশ কিছু ভিটামিনের সাপ্লিমেন্ট থেকেও চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে বা টাক হয়ে যেতে পারে।
প্রসবোত্তর, অসুস্থতা ও মানসিক চাপ: প্রসবের পর নানা রকম অসুস্থতা ও মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে একজন মহিলাকে যেতে হয়। এর ফলেও অত্যধিক হারে চুল পড়তে পারে। প্রসব পরবর্তী সময়ে টেলোজেন এফ্লুভিয়াম চুল পড়াকে আরও ত্বরান্বিত করে।
চুলের অযত্ন: চুলে রং করা, অতিরিক্ত হিট দিয়ে স্টাইলিং চুলের নানান ক্ষতি করতে পারে। এর ফলেও প্রচুর পরিমাণে চুল ঝড়ে যেতে পারে।
বংশগত কারণ: টাক হয়ে যাওয়া অনেকে সময় বংশগত হয়। পরিবার সূত্রে অর্থাৎ জেনেটিক কারণেও চুল ঝড়ে গিয়ে টাক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
বয়স: এছাড়া বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চুলের বৃদ্ধি কমতে থাকে। চুলের ফলিকলগুলিও চুল গোজানোর কাজ বন্ধ করতে থাকে, ফলে চুল পাতলা হতে শুরু করে।
কেএস/
লাইফস্টাইল
দাঁতের কালো কালো ছোপ দূর করতে যা যা করবেন
অনেক চেষ্টার পরও দাঁতের কালো ছোপ যাচ্ছে না? খরচের ভয়ে স্কেলিং করাতে পারছেন না? সমস্যা নেই। এবার ঘরোয়া উপায়েই দাঁত হবে সুন্দর। ফিরে পাবেন হারানো উজ্জ্বলতা। শুখু মাথায় রাখুন কয়েকটা টিপস।
ঝকঝকে সাদা দাঁত সবারই চাই। কিন্তু সারাদিন বিভিন্ন খাবার খাওয়া, আর তারপর ভালো করে মুখ না ধোয়া বা নিয়ম মেনে ব্রাশ না করার ফলে সাদা দাঁতে পড়তে থাকে হলুদ-কালো ছোপ।
- এই দাগ ছোপ দূর করতে এক চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন এক চিমটে হলুদ গুঁড়া। এবার এই মিশ্রণ দিয়ে ব্রাশ করুন। এরপর পেস্ট দিয়ে ব্রাশ করে নিন। ফিরবে দাঁতের উজ্জ্বলতা।
- লনণ ও তেলের মিশ্রণও ব্যবহার করতে পারেন। কয়েক ফোঁটা সরষের তেলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে দাঁতে ঘষুন। ফল পাবেন নিমেষেই।
- ঝকঝকে দাঁত পেতে পাতিলেবুর কোনও বিকল্প নেই। এক চিমটি লবণের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস, এই মিশ্রণই কাজ করবে ম্যাজিকের মতো, দাঁত হবে সাদা।
- এছাড়া দাঁত সাদা করতে কমলা লেবুর খোসার জুড়ি মেলা ভার। সকালে ঘুম থেকে উঠে কমলালেবুর খোসা দিয়ে দাঁত ঘষুন। এতে দাঁত আরও সাদা এবং শক্ত হবে। দূর হবে মুখের দুর্গন্ধও।
কেএস/
- আইন-বিচার7 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- ক্রিকেট5 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
- টুকিটাকি7 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
- জাতীয়5 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
- অপরাধ7 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
- বলিউড3 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
- আইন-বিচার4 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
- আইন-বিচার5 days ago
তনির কাছে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করেনি লাখানি কালেকশন
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন