বরিশাল বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাসপাতালে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে উপসর্গ নিয়ে ১৮ জন এবং করোনায় ১৩ জন মৃত্যুবরণ করেন, যা বিভাগে সর্বোচ্চ সংখ্যা। আরটিপিসিআর ল্যাবে শনাক্তের হার ৫৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এ সময়ে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৭৯৮ জন।
সোমবার (২ আগস্ট) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রমণ তথ্যে দেখা গেছে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে বরিশাল জেলায় ২৮২ জন। এ পর্যন্ত এই জেলায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৪১৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৬৭২ জন। ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু নিয়ে মোট মারা গেছে ১৬২ জন।
পটুয়াখালী জেলায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ১২৯ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫৪৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় দুজনের মৃত্যু নিয়ে মোট মারা গেছেন ৮৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬৮১ জন।
ভোলা জেলায় নতুন ১৬০ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হলেন ৪ হাজার ৬৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় ৬ জনের মৃত্যু নিয়ে মোট মারা গেছেন ৪০ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪৯২ জন।
পিরোজপুর জেলায় নতুন ৮২ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪৫৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু নিয়ে মোট মারা গেছেন ৭৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৩০ জন।
বরগুনা জেলায় নতুন ৮৩ জন শনাক্ত নিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও মোট মারা গেছেন ৬৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮১৯ জন।
ঝালকাঠি জেলায় নতুন ৬২ জন শনাক্ত নিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১২২ জন। ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও মোট মারা গেছেন ৬১ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪২ জন।
মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ১৮ জন উপসর্গ নিয়ে এবং চারজন করোনা রোগীসহ মোট ২২ জন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত্যুবরণ করেন। এ ছাড়া দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন, কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন, ভোলা সদর হাসপাতালে ৬ জন এবং নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে একজন করোনা রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালকের তথ্য সংরক্ষক জাকারিয়া খান স্বপন জানান, বিগত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের আইসোলেশনে ৪৭ জন ভর্তি হন। এর মধ্যে উপসর্গ নিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ৩১১ জন চিকিৎসাধীন রোগী আছেন। যার মধ্যে ১১৪ জনের করোনা পজিটিভ, ১৯৭ জন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ১৮৮ জনের নমুনা আরটি পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করানো হয়েছে। এর মধ্যে ১০৫ জন পজিটিভ ও ৮১ জন করোনা নেগেটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
শনিবার (১ আগস্ট) বিভাগে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১৬ জনের। আরটিপিসিআর ল্যাবে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ সময়ে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৮৫ জন।
বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় ২০২০ সালের ৯ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সেই থেকে সোমবার (২ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভাগের ৬ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৩৪ হাজার ৬২৭ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৮৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ৪৩৬ জন।
মুক্তা মাহমুদ