আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের দুই বছর আজ

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের দুই বছর আজ

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি আজ। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধান থেকে রাজ্যটিকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করা হয়। এই দুই বছরে সেখানে বিচ্ছিন্নভাবে সংঘাত-সহিংসতা হলেও সরকারের কয়েকটি পদক্ষেপে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করে ভারত ও পাকিস্তান। অঞ্চলটিতে আধিপত্য বিস্তারে কয়েকবার যুদ্ধেও জড়ায় প্রতিবেশী দেশ দুইটি। শেষে দুই দেশই কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়। ভারতের অংশ জম্মু-কাশ্মীর আর পাকিস্তানের অংশ আজাদ কাশ্মীর নামে পরিচিতি পায়। ১৯৫৪ সাল থেকে ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে স্বায়ত্তশাসন শুরু হয়। বিশেষ মর্যাদা পায় এলাকাটি।

তবে ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট সংবিধানে বিশেষ সংশোধনী এনে ওই মর্যাদা বাতিল করে দেয় মোদী সরকার। নতুন আইনে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়। এরপর দুই বছর পেরোলেও কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ চলছে।

ইতোমধ্যে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ফোর-জি ইন্টারনেট সেবা চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যসব রাজ্যের মতোই সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে অঞ্চলটির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এছাড়াও অন্য রাজ্যের চার লাখ মানুষকে কাশ্মীরে বসবাসের জন্য আবেদনের অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। অঞ্চলজুড়ে নারী ও তরুণদের ক্ষমতায়ণের জন্য নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর দমনপীড়ন চলছে বলে অভিযোগ করছে পাকিস্তান। তবে নানা ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন পায় মোদী সরকার।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন জম্মুকাশ্মীরের | বিশেষ | মর্যাদা | বাতিলের | দুই | বছর | আজ