চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে ইসলামাবাদে পৌঁছেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ষষ্ঠ কৌশলগত সংলাপে অংশ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এফও) জানায়, ওয়াং ই ইসলামাবাদে অবস্থানকালে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেবেন। তিনি দ্বিপক্ষীয় কৌশলগত সংলাপসহ রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এর আগে, ২০২৪ সালের মে মাসে পঞ্চম দফা কৌশলগত সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল চীনের বেইজিংয়ে। সেখানেও যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন ইসহাক দার ও ওয়াং ই।
পাক-চীন কৌশলগত সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, যা বাণিজ্য, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও অবকাঠামোসহ নানা খাতে বিস্তৃত। এ সম্পর্ককে আরও গভীর ও বিস্তৃত করতে চলমান সংলাপগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সম্প্রতি কাবুলে আয়োজিত একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন চীন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সেখানে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তিন দেশই সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় যৌথভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং বাণিজ্য, আঞ্চলিক উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেয়। বিশেষ করে আফগানিস্তানে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) সম্প্রসারণের ব্যাপারে তিন দেশ একমত হয়।
এদিকে, সিপিইসি-এর দ্বিতীয় ধাপ (সিপিইসি-২) নিয়ে চীন ও পাকিস্তান নতুনভাবে একাধিক খাতে যৌথ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আওতায় নির্মাণ প্রকৌশল, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কৃষি এবং হসপিটালিটি ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে বেইজিং সফরে যাবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। এ সফরে তার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, পাঁচ বছর পর এই সফরটি হবে সিপিইসি-২ প্রকল্পের অধীনে শিল্পখাতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
সূত্র: দ্য ডন
এসি//