আর্কাইভ থেকে আইন-বিচার

মানবতাবিরোধী অপরাধ: ময়মনসিংহের ৫ জনের রায় কাল

মানবতাবিরোধী অপরাধ: ময়মনসিংহের ৫ জনের রায় কাল
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ৫ জনের রায় সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঘোষণা করবে ট্রাইব্যুনাল। রোববার (১৯ ফ্রেবুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে গেলো বছরের ২৩ নভেম্বর মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। এ মামলায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন ও ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার, মিজানুল ইসলাম ও গাজী এম এইচ তামিম। মামলায় আসামি আটজন। তাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে আসামি পাঁচজন। অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও মরদেহ গুমের অভিযোগে ২০১৬ সালের ১১ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা তাদের তদন্তকাজ শেষ করে। ২০১৫ সালের ১৯ মে ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন এ মামলা করেন। ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক পরে এজাহারটি গ্রহণ করে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থার আনা অভিযোগ প্রথম অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ২৩ ও ২৪ এপ্রিল ময়মনসিংহের গোলকীবাড়ী বাই লেনের প্রখ্যাত ভাস্কর আব্দুর রশিদকে অপহরণ, নির্যাতনের পর জিপের পেছনে রশি দিয়ে বেঁধে টেনেহিঁছড়ে নির্মমভাবে হত্যা ও লাশ গুম। দ্বিতীয় অভিযোগ: একাত্তরের ২ অগাস্ট ত্রিশাল থানার বৈলর হিন্দুপল্লী ও মুন্সিপাড়ায় অগ্নিসংযোগ, সেন্টুকে গুলি করে হত্যা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের দুজনকে গুলি করে আহত, শহীদ আবদুর রহমানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও গুলি করে হত্যার ঘোষণা। তৃতীয় অভিযোগ: একাত্তরের ৭ থেকে ৯ অগাস্টের মধ্যে বৈলরের আ. রহমান মেম্বারকে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা ও লাশ গুম। চতুর্থ অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে খন্দকার আব্দুল আলী রতনকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও লাশ গুম। পঞ্চম অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে মো. আবেদ হোসেন খানকে আটক, নির্যাতন ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর। এ ছাড়া ৭ থেকে ১০ আগস্টের মধ্যে কে এম খালিদ বাবুকে অপহরণ, আটক ও নির্যাতন। মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা ময়মনসিংহ শহরের জেলা পরিষদের ডাক বাংলো, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল, অভিযুক্ত এম এ হান্নানের রামবাবু রোডের ৫৯ নম্বর বাড়িকে ‘টর্চারসেল’ হিসেবে ব্যবহার করতেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মানবতাবিরোধী | অপরাধ | ময়মনসিংহের | ৫ | জনের | রায় | কাল