আর্কাইভ থেকে এশিয়া

তুরস্কে ফের দুই দফা ভূমিকম্প

তুরস্কে ফের দুই দফা ভূমিকম্প
তুরস্কে ভূমিকম্পের ক্ষত শুকিয়ে যায়নি এখনও। উদ্ধারকাজ শেষের পথে হলেও এখনও চলছে। এরই মাঝে স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় আবারও কেঁপে উঠল তুরস্ক। তুরস্কে নতুন করে দুটি ভূমিকম্পে অন্তত তিনজন নিহত হওয়ার পর উদ্ধারকারীরা আবারও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকদের সন্ধান করছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪ ও ৫.৮। সিরিয়ার সীমান্তের কাছে দক্ষিণ-পূর্বে আঘাত হানে, যেখানে ৬ ফেব্রুয়ারিতে বিশাল ভূমিকম্প উভয় দেশকে বিধ্বস্ত করেছিল। সিরিয়া, মিশর এবং লেবাননেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পবিদ্যা কেন্দ্র অনুয়ায়ী, কম্পনের কেন্দ্র মাটি থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ আন্তাকিয়া শহরের বাসিন্দা মুনা আল ওমার গত কয়েক দিন ধরে ত্রাণশিবিরের তাঁবুতেই রয়েছেন। নিজের সাত বছরের ছেলেকে কোলে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে মুনা বলেন, মনে হচ্ছিল পায়ের তলার মাটি দু’ভাগ হয়ে যাবে। গেলো ৬ ফেব্রুয়ারি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল সিরিয়া এবং তুরস্ক। রিখটার স্কেলে কম্পনমাত্রা ছিল ৭.৮। তার পর প্রায় ১০০ বার ‘আফটার শক’-এ কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক আর সিরিয়া। ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। রাষ্ট্রপুঞ্জের অনুমান, শুধু তুরস্কেই ভেঙে পড়েছে ২ লাখ ৬৪ হাজার বাড়ি। সিরিয়াতেও অন্তত হাজার পঞ্চাশেক বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে অনুমান আন্তর্জাতিক ত্রাণকর্মীদের। দু’টি দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪৬ হাজার পেরিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে যে আরও কত হাজার মানুষ চাপা পড়ে রয়েছেন, তার কোনও পরিসংখ্যানই নেই। ভূমিকম্পের ১২ দিন পরেও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে প্রাণের সন্ধান পাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। জীবিতের থেকে অনেক বেশি মিলছে মৃতদেহ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন তুরস্কে | ফের | দুই | দফা | ভূমিকম্প