রাজধানীর তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন মেয়র আনিসুল হক সড়কে কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক ও পিকআপের দখল থেকে মুক্ত করা যাচ্ছে না। বেশ কয়েকবার অভিযানের পরও সফলতা আসছে না। রেললাইনের পরপরই লেগুনার স্টেশন করা হয়েছে। আমি আসার কারণে ট্রাকগুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলেছে। সত্যি কথা বলতে, এ সড়কটি নিয়ে টম অ্যান্ড জেরি খেলা হচ্ছে। বললেন ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন মেয়র আনিসুল হক সড়কে অভিযান শেষে এসব কথা বলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এসময় মেয়র আনিসুল হক সড়কে অযান্ত্রিক যানে গতি ফেরাতে আলাদা লেন উদ্বোধন করেন বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম।
মেয়র বলেন, রেললাইনের পরপরই লেগুনার স্টেশন করা হয়েছে। আমি আসার কারণে ট্রাকগুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলেছে। যদিও অনেকে রাস্তা ওপর ট্রাক রেখে দিব্বি চলে গেছে। সত্যি কথা বলতে হয়, এ সড়কটি নিয়ে টম অ্যান্ড জেরি খেলা হচ্ছে। জাস্ট টম এন্ড জেরি। আমি আসলে চলে যাচ্ছে, পুলিশ আসলে চলে যাচ্ছে; পরে আবারও এসে রাস্তা দখল করছে, আবার চলে আসছে। এটা বাস্তব সত্য চিত্র।
সড়কটি দখলমুক্ত রাখতে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হবে উল্লেখ্য করে আতিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করতে চাচ্ছি। এখানে মালিক সমিতির প্রতিনিধি থাকবে, ট্রাক শ্রমিক প্রতিনিধি থাকবে, পুলিশ থাকবে, কাউন্সিলর থাকবে, আরেকজন প্রতিনিধি থাকবে।
রিকশার আলাদা লেন উদ্বোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আলাদা একটা লেন করেছি। যে লাইনটি শুধু রিকশার জন্য। আগে আমরা দেখতাম সড়কের ওপরে রাখা ট্রাকগুলো উত্তর-দক্ষিণে রাখা হতো। ফলে ট্রাকের পেছনটা ফুটপাত দখল করে রাখত। এখন আমরা যে পদ্ধতি করেছি ফুটপাতে ট্রাক রাখতে পারবে না। ফুটপাত দিয়ে জনগণ হাঁটতে পারবেন। জনগণ যেন নিরাপদে হাঁটতে পারেন তার জন্য আমরা এ পদ্ধতি নিয়েছি।
সড়কটি দখল না হওয়ার পেছনে কাউন্সিলরদের চাঁদাবাজির অভিযোগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, জনপ্রতিনিধি যদি কোনো চাঁদাবাজি করে তাহলে এর থেকে দুঃখজনক আর কিছু নেই। তারা যদি করে থাকে এটার প্রমাণ দিতে হবে। আপনি বলবেন, আরেকজন বলবে, পুলিশ চাঁদা খায়, আরেকজন বলবে মেয়র চাঁদা খান, সবাই চাঁদা খায়; এ রকম বললে হবে না, প্রমাণ দিতে হবে।