রাশিয়া ‘নিউ স্টার্ট চুক্তি’র মাধ্যমে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো মেনে চলবে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তিতে মস্কোর অংশগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টা পর এই কথা জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি’র।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাশিয়া এই চুক্তির মেয়াদকালে একটি দায়িত্বশীল দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতে চায় এবং তারা চুক্তির (নিউ স্টার্ট) মাধ্যমে নির্ধারিত কৌশলগত আক্রমণাত্মক অস্ত্রের পরিমাণগত বিধিনিষেধ কঠোরভাবে মেনে চলবে।’
চুক্তিটির মেয়াদ ২০২৬ সালের শেষের দিক পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বিশ্বের দুটি প্রধান পারমাণবিক ক্ষমতাধর দেশের মধ্যে সর্বশেষ পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি এটি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ‘ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপের’ পর পুতিনের এমন সিদ্ধান্ত আসে। ২০১০ সালে প্রথম এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় ওয়াশিংটনের ‘চরম শত্রুতার’ ইঙ্গিত দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন সংঘাত উস্কে দিচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। দেশটিতে রাশিয়ার সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিয়েভকে আর্থিক ও সামরিকভাবে সমর্থন করা ওয়াশিংটন রাশিয়ার জন্য ‘মৌলিকভাবে ভিন্ন নিরাপত্তা পরিবেশ’ তৈরি করেছে।
মস্কো বলেছে, এই স্থগিতের অন্য কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়াশিংটন চুক্তিটির ‘প্রধান বিধান লঙ্ঘন করেছে।’
এতে আরও বলা হয়, ওয়াশিংটন কৌশলগত আক্রমণাত্মক অস্ত্রগুলোর নাম পরিবর্তন করেছে যাতে এগুলো ‘আর চুক্তির সংজ্ঞার আওতায় না পড়ে বা ‘রাশিয়ার পক্ষকে নির্ভরযোগ্যভাবে যাচাই করার সুযোগ না দিয়ে অস্ত্রগুলোর নাম রুপান্তরিত করার ঘোষণা দেয়।’
অবশ্য মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে যে, চুক্তিটি স্থগিত করার রাশিয়ার সিদ্ধান্ত ‘পরিবর্তনযোগ্য’। তবে এক্ষেত্রে ওয়াশিংটনকে ‘অবশ্যই রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখাতে হবে।’