প্রথম ৪ ম্যাচে অন্তত এত খারাপ খেলেনি সফরকারীরা। চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাঝেই দুঃস্বপ্নের বাংলাদেশ সফর শেষ করল অস্ট্রেলিয়া। শেষ ম্যাচে ৬০ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত ক্যাঙ্গারুররা। এই নিয়ে টানা পাঁচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের রেকর্ড অজিদের। আর ৪-১ ব্যবধানে অজিদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো অজি বধের আনন্দে ভাসল টাইগাররা।
মাত্র ৬০ রানেই গুটিয়ে গেল অজিরা। টি-টোয়েন্টি অস্ট্রেলিয়াকে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড উপহার দিল বাংলাদেশ। এই ফরম্যাটে এত কম রানে কখনই অলআউট হয়নি দলটি।
উইকেটের সেঞ্চুরি করলেন সাকিব
নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পেলেন সাকিব। ফিরিয়েছেন ১ রান করা অ্যাস্টন টার্নারকে। এই উইকেটের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উইকেটের শতক পূর্ণ করলেন সাকিব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর চেয়ে কেবল একজনই বেশি উইকেট পেয়েছেন এই ফরম্যাটে। তিনি হচ্ছেন লাসিথ মালিঙ্গা। এই লঙ্কান পেসারের উইকেট সংখ্যা ১০৭টি।
সাকিবের মাইলফলক অর্জনের দিনে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়েছে অজি ব্যাটিং লাইন আপ। ১৭ রানে ২ উইকেট হারান অস্ট্রেলিয়া ৫৬ তে পৌঁছেছে ৮ উইকেট হারিয়ে।
সাকিব-মাহামুদউল্লাহর জোড়া আঘাত
মাহামুদউল্লাহকে ছয় মেরেছিলেন। এক বল পরেই আলতো শটে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফিরলেন। ১৬ বলে ১৭ করে আউট বেন ম্যাকডারমট। এর আগের ওভারেই ফিরেছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। তাকে ফিরিয়েছেন সাকিব। জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ম্যাথু ওয়েড, ২২ বলে ২২ রান করে।
ছন্দে থাকা মার্শকে ফিরিয়ে নাসুমের দ্বিতীয় আঘাত
নিজের করা প্রথম ওভারে ফিরিয়েছিলেন ড্যান ক্রিস্টিয়ানকে, দ্বিতীয় ওভারে ফেরালেন মিচেল মার্শকে। চলতি সিরিজে ব্যাট হাতে সবথেকে ধারাবাহিক ছিলেন মার্শ। তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে অজি শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানলেন নাসুম। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারলেন না। মার্শ ফিরলেন ৯ বলে ৪ করে। দলীয় ১৭ রানে দুই উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া।
নাসুমের প্রথম বলেই সাজঘরে ক্রিস্টিয়ান
আগের ম্যাচে একাই হারিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। সাকিবের ৬ বলে ৫ ছয় মেরে নায়ক বনে গিয়েছিলেন এই বিগ ব্যাশ তারকা। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচে তান্ডব ছড়াতে পারলেন না ডান ক্রিস্টিয়ান। নাসুম আহমেদের আর্ম বলটায় বড় শটের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে তাঁর, হয়েছেন বোল্ড। নিজের প্রথম বলেই বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু দিলেন নাসুম। ৩ রানে প্রথম উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া।
শেষে এসে খেই হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২২
ভালো শুরুর পরেও নির্ধারিত ওভার শেষে আশানুরূপ রান তুলতে ব্যর্থ বাংলাদেশ। শেষের ৪ ওভারে রান এসেছে মোটে ১৭। সোহান-আফিফ-মোসাদ্দেকদের স্লোয়ারে বিভ্রান্ত করেছেন দুই পেসার এলিস ও ক্রিস্টিয়ান। আর তাতে সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছে ১২২ রান। বাকি চার ম্যাচের মতো তাই আরও একটি লো স্কোরিং ম্যাচের অপেক্ষা।
রানের গতি একেবারেই কমে যায় ১৭তম ওভারে। এডাম জাম্পার সে ওভারে মাত্র ১ রান নেয় আফিফ-সোহান। ১৮তম ওভারে সোহান ফিরেছেন ১৩ বলে ৮ করে। আফিফ ফিরেছেন ১১ বলে ১০ করে। অপরাজিত থাকা মোসাদ্দেক করেছেন ৮ বলে ৪। আর সাইফউদ্দিন তো বলই খেলতে পারেননি। হয়েছেন রান আউট। মিডল আর লোয়ার অর্ডারের ব্যর্থতায় তাই শুরুর ছন্দ শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ।
তবে এই পুঁজি সম্ভব হয়েছে টাইগার ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট ইনিংসে। সর্বোচ্চ ২৩ করেছেন ওপেনার নাঈম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাহামুদউল্লাহর, ১৯। অজিদের হয়ে জোড়া উইকেট শিকার দুই পেসারের। সিরিজ হারের ব্যবধান কমাতে ১২০ বলে সফরকারীদের দরকার ১২৩ রান।
এস
