বাংলা চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি এটিএম শামসুজ্জামান হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এ তথ্য নিশ্চিত করে এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল আহমেদ।
তার মেয়ে কোয়েল বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আব্বা বাসায় রয়েছেন। বেশ ভালোই ছিলেন। কিন্তু গত দুইদিন ধরে আব্বার শরীরের অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না। আজ সকালে একটু বেশি খারাপ হয়ে যায়। তাই সকালে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করেছি।’
ডা. আতাউর রহমান খানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এটিএম শামসুজ্জামান। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে কোয়েল বলেন, ‘আব্বার অক্সিজেন লেভেল কমে গেছে। তা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। একদিন পর্যবেক্ষণ করে আব্বার শরীরিক অবস্থা জানাবেন ডাক্তার।’
১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন এটিএম শামসুজ্জামান। প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেন ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য। একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার। অভিনয়ের জন্য আজীবন সম্মাননাসহ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ছয় বার, তন্মধ্যে দায়ী কে? (১৯৮৭) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে; ম্যাডাম ফুলি (১৯৯৯), চুড়িওয়ালা (২০০১) ও মন বসে না পড়ার টেবিলে (২০০৯) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা বিভাগে; এবং চোরাবালি (২০১২) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে পুরস্কৃত হন। এছাড়া, ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের সময় তিনি আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন।[৩] শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন।
রাইদুল শুভ