আর্কাইভ থেকে দক্ষিণ আমেরিকা

আফগানিস্তানে এক যুগ আগেই যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে: বাইডেন

আফগানিস্তানে এক যুগ আগেই যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে: বাইডেন

তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পরও আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারে নিজের সিদ্ধান্তের সাফাই গেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রোববার তালেবানের কাবুল দখলের পরদিন এ নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণে এমন অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। আফগানিস্তানের রাজনৈতিক পালাবদলের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে প্রথমবার মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাতের ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, চিরদিন এই যুদ্ধে থাকার সুযোগ ছিলো না। প্রায় ২০ বছর আগে আমরা একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আফগানিস্তানে গিয়েছিলাম। তা হলো, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যারা আমাদের ওপর হামলা করেছিল তাদের ধরাশায়ী করা এবং এটা নিশ্চিত করা, আল-কায়েদা আবারও আমাদের ওপর হামলা চালাতে আফগানিস্তানকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে। আমরা সে লক্ষ্যে পৌঁছেছি, এক যুগ আগেই। দেশটির জাতীয় উন্নয়ন কখনোই আমাদের লক্ষ্য ছিল না।

বাইডেন আরও বলেন, যেখানে আফগান সেনারাই নিজেদের রক্ষায় লড়াই করতে চায় না, জীবন দিতে চায় না, সেখানে মার্কিন সেনারা যুদ্ধ করে মরতে পারে না। আমাদের জাতি রক্ষায় সাহসী সেনা সদস্যরা জীবনের যে ঝুঁকি নেয় তাদের দিকে তাকালে ওই সিদ্ধান্তই ঠিক। আমি জানি, আফগানিস্তান নিয়ে আমার সিদ্ধান্তের সমালোচনা হবে। কিন্তু আমি চাইলে, এই দায় এড়িয়ে পরবর্তী প্রেসিডেন্টের ওপর সমালোচনার বোঝা চাপাতে পারতাম।

আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এখন যা দেখছি, এটাই প্রমাণ করে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর যত বড় উপস্থিতি থাকুক আফগানিস্তানে নিরাপদ, ঐক্যবদ্ধ ও স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করা যেত না। এখন যা ঘটছে তা আরও পাঁচ বছর আগে বা ভবিষ্যতে আরও পনের বছর পরে ঘটতে পারত।

কাবুল পতনের ঘটনায় প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে দায়ী করে বাইডেন বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতা করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তবে আফগান জনগণের পাশেই ওয়াশিংটন থাকবে বলে ঘোষণা করেন বাইডেন। কূটনীতি ও আঞ্চলিক প্রভাবের মাধ্যমে মার্কিন প্রশাসন অস্থিতিশীলতা ঠেকাতে ভূমিকা রাখবে বলেও জানান তিনি।

তবে বাইডেন স্বীকার করেন, তার ধারণার চেয়েও দ্রুত পটপরিবর্তন হয়েছে। যারা আফগানিস্তান ছাড়তে চায়, তাদের সাহায্য করার পরিকল্পনাও ঘোষণা করেন তিনি।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় ভোরে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বাইডেন জানিয়েছেন, আরও ছয় হাজার সেনাকে আফগানিস্তানে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এদের কাজ হবে মার্কিন নাগরিক এবং তাদের সহযোগীদের আফগানিস্তান ছাড়তে সহায়তা করা। আর এই কার্যক্রম শেষ হলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের দীর্ঘতম যুদ্ধ শেষ হবে বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আফগানিস্তানে | এক | যুগ | আগেই | যুক্তরাষ্ট্রের | লক্ষ্য | পূরণ | হয়েছে | বাইডেন