আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

সোনাইমুড়ী থানার এসআইসহ ৩ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

সোনাইমুড়ী থানার এসআইসহ  ৩ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারের পর ডিএনএ নমুনা দিয়ে ঢাকা থেকে ফেরত আসার সময় হাতকড়াসহ মো. জুয়েল (২৪) ও মো. দেলোয়ার হোসেন (২৮) নামে দুই আসামির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস ও নারী কনস্টেবল আসমা আক্তার।

অন্যদিকে এ ঘটনায় নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসাকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহাম্মদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম রেঞ্জ অফিসকে অবহিত করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া মো. দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি কামরাঙ্গীরচর থানা হেফাজতে আছেন। পালিয়ে যাওয়া আরেক আসামি মো. জুয়েলকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। তাদের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জের গাজারিয়া থানায় মামলা হয়েছে।

এর আগে বুধবার (১৮ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা এলাকার হাইওয়ে রোডের পাশে আল মদিনা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের টয়লেটের পেছনের জানালা ভেঙে হাতকড়াসহ দুই আসামি পালিয়ে যান।

পালিয়ে যাওয়া আসামিরা হলেন- সোনাইমুড়ী উপজেলার বাট্টা গ্রামের মুজা মিয়া ব্যাপারী বাড়ির মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মো. জুয়েল ও একই উপজেলার বগাদিয়া গ্রামের সওদাগর বাড়ির  মৃত আবদুল লতিফের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন।

পুলিশ জানায়, ধর্ষণ মামলায় আদালতের নির্দেশে এজাহারনামীয় আসামি মো. জুয়েল ও মো. দেলোয়ার হোসেনকে ডিএনএ পরীক্ষা করানোর জন্য সকালে ঢাকার মালিবাগের সিআইডি অফিসে নেওয়া হয়। ডিএনএ নমুনা দেওয়ার পর ঢাকা থেকে ফেরার পথে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা এলাকার হাইওয়ে রোডের পাশে আল মদিনা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে ভাত খাওয়া শেষে আসামিরা টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে। এ সময় আসামিরা পুলিশ পাহারায় টয়লেটে প্রবেশ করে এবং দরজার সামনে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহম্মেদ ও কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস পাহারায় থাকেন। আসামিদের টয়লেট থেকে বের হতে বিলম্ব দেখে টয়লেটের দরজা ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে তারা দেখতে পান আসামিরা টয়লেটের পেছনের জানালা ভেঙে পালিয়ে গেছেন।

 মুক্তা মাহমুদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সোনাইমুড়ী | থানার | এসআইসহ | | ৩ | পুলিশ | সদস্য | বরখাস্ত