নাটোরের বড়াইগ্রাম থেকে অভিযান চালিয়ে ভুয়া র্যাব ও ভুয়া পুলিশ পরিচয়দানকারী দুই প্রতারককে আটক করেছে র্যাব-৫।
রোববার বিকেল ৬টার দিকে নাটোর জেলার বড়াইগ্রামের গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো পাবনা জেলার সাথিয়া থানার হলুদঘর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানেরর ছেলে ভুয়া র্যাব সেলিম মোর্শেদ (৩৪) ও গোপালপুর গ্রামের সোহরাব আলী মাস্টারের ছেলে ভুয়া পুলিশ সদস্য এরশাদ আলী (৩৫)। আটকের পর তাদের কাছ থেকে র্যাব ও পুলিশের ভুয়া আইডি কার্ড, পুলিশের স্টিকার ব্যবহার করা মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার রাজশাহী র্যাব-৫ এর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভূয়া র্যাব সেলিম মোরর্শেদ ও ভুয়া পুলিশ এরশাদ আলী নিজেদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের লোক পরিচয় দিয়ে বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক ও নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালুর কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে। এছাড়াও গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খানের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। তারা আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সার্বিক অবস্থাপনা তদারকির জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন বলেও ইউপি চেয়ারম্যানদের জানায়। তাদেরকে চাঁদা দিলে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নির্বাচনে জয় লাভ নিশ্চিত হবে এমনটিও জানায় তারা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা জানতে পেরে রোববার বিকেলে বড়াইগ্রামের গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় তাদের আটক করে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে র্যাব ও পুলিশের ভুয়া আইডি কার্ডসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয় ।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুজন জানিয়েছে, র্যাব ও পুলিশের ভুয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিতো।
মুনিয়া