শিশুদের বুকের দুধ পান করানোয় মায়েদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। সোমবার ওয়ার্ল্ড ব্রেস্টফিডিং ট্রেন্ডস ইনিশিয়েটিভ বা ডব্লিউবিটিআই এর একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মোট ৯৮টি দেশের মধ্যে ৯১ দশমিক ৫ স্কোর নিয়ে তালিকায় সবচেয়ে ভালো করেছে বাংলাদেশ।
ডব্লিউবিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০টি সূচক ও কর্মসূচির ওপর ভিত্তি করে দেশগুলোকে লাল, হলুদ, নীল ও সবুজ রঙের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সবুজ জাতির মর্যাদাও অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পরই ৯১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা।
ডব্লিউবিটিআইয়ের বৈশ্বিক সমন্বয়ক অরুণ গুপ্তা বলেছেন, বাংলাদেশের এ অর্জন ২০০৫ সাল থেকে প্রচেষ্টা করার ফসল। এ অর্জন দেশটির প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির প্রতি সরকারের উচ্চমাত্রার অঙ্গীকারের প্রতিফলন। নবজাতক ও ছোট শিশুর খাবার বা ইনফ্যান্ট অ্যান্ড ইয়াং চাইল্ড ফিডিং বিষয়ে সরকারের নীতিমালা প্রণয়ন ও কার্যক্রম বাস্তবায়নের ওপর ভিত্তি করে এই স্কোর অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে এই স্কোর ছিল ৮৬।
ডব্লিউবিটিআই জানিয়েছে, নীতিমালা ও কর্মসূচির সূচকে জাতীয় নীতি, কর্মসূচি ও সমন্বয়ে ৭, শিশুবান্ধব হাসপাতালের উদ্যোগে ৮, আন্তর্জাতিক কোড বাস্তবায়নে ৯, মাতৃত্ব সুরক্ষায় ৮ দশমিক ৫, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি যত্নের পদ্ধতিতে ৯, মায়েদের সহায়তা এবং কমিউনিটি সম্পৃক্ততায় ১০, তথ্য সহায়তায় ১০, নবজাতককে খাওয়ানো ও এইচআইভিতে ১০, জরুরি অবস্থায় নবজাতককে খাওয়ানোয় ১০ এবং পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ণে ১০ পেয়েছে বাংলাদেশ।
এছাড়া চর্চার সূচকে জন্মের পরপর বুকের দুধ খাওয়ানোয় বাংলাদেশের স্কোর ৬৯। একাধারে প্রথম ছয় মাসে বুকের দুধ খাওয়ানোয় বাংলাদেশ পেয়েছে ৬৫। বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন এস কে রায় বলেন, ক্রমাগতভাবে বুকের দুধ খাওয়ানোর কার্যক্রমকে জোরদার করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
আইওয়াইসিএফের সব সূচকে আরও উন্নয়নের জন্য সচেষ্ট রয়েছে বাংলাদেশ।
তালিকায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে লিবিয়া। দেশটির স্কোর ১৯। প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ৭৯তম, দেশটির স্কোর ৪৫। এছাড়া ৪০ দশমিক ৫ স্কোর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আছে ৮৬তম অবস্থানে। ব্রিটেনের অবস্থান ৬৫তম, তাদের স্কোর ৫০ দশমিক ৫। নিচের দিকে অবস্থান জার্মানিরও, ৩৩ দশমিক ৫ স্কোর নিয়ে তালিকার ৯৫তম স্থানে আছে দেশটি। জার্মানির পরই অস্ট্রেলিয়া, দেশটির স্কোর ২৫ দশমিক ৫।
এসএন