ভারতে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্টের থাবায় দ্বিতীয় ঢেউয়ের রেশ কাটেনি এখনও। এরই মধ্যে আরও একটি নতুন ভ্যারিয়্যান্ট কোভিড-২২ সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করেছেন সুইজারল্যান্ডের এক গবেষক।
ভারতীয় গণমাধ্যম এই সময় জানিয়েছে, করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্টের দাপটে নাজেহাল পুরো বিশ্ব। বর্তমানে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কিছুটা সামলে উঠেছে ভারত। তবে শঙ্কা কাটছে না করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে চিন্তার কারণ হতে পারে করোনার সুপার ভ্যারিয়্যান্ট কোভিড-২২!
২০২২ সালে করোনার নতুন এই ভ্যারিয়্যান্ট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করছেন সুইজারল্যান্ডের জুরিখের ইমিউনোলজিস্ট প্রোফেসর সাই রেড্ডি। এই সুইস বিশেষজ্ঞ জানান, বর্তমানে করোনার যে স্ট্রেইনগুলো রয়েছে তা মিলে একটি ভয়াবহ স্ট্রেইন তৈরি হতে পারে। যা ডেল্টা, বিটা, গামার থেকেও ভয়াবহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রোফেসর সাই রেড্ডি দাবি করেছেন, এই স্ট্রেইন কোভিড-২২ অন্যান্য ভ্যারিয়্যান্টের থেকেও ভয়াবহ হতে পারে। এই ধরনের কোনো স্ট্রেইন এলে টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোকে আগে থেকে নতুন ভ্যাকসিন তৈরির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, যা এই ভ্যারিয়্যান্টকে নির্মূল করবে। বিপদের বড় কারণ হয়ে দাঁড়াবে নতুন এই ভ্যারিয়্যান্ট। আমাদের আগে থেকে প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন।
ভবিষ্যতে করোনার আরও নতুন স্ট্রেইন আসতে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিল বিজ্ঞানীরা। এর উপর নতুন এই স্ট্রেইন সামনে আসায় চাঞ্চল্য অনেক বেড়েছে।
এদিকে, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ক্রিস স্মিত বলেছেন, আমরা মানছি করোনা মহামারী এখনও শেষ হয়নি। সংক্রমণ কমলেও নতুন রূপে বারবার ফিরে আসছে।
তিনি আরও বলেন, এটা ভুললে চলবে না ভাইরাসটি একটি দেশের ছোট একটি শহরে একজনের শরীরে প্রথম পাওয়া গিয়েছিল। সেখান থেকে শুধু ওই দেশেই নয়, ভাইরাসটি ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে।
করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য টিকাকরণে ভরসা রাখছে গবেষকরা। তাদের দাবি, কোনও ব্যক্তির সম্পূর্ণ টিকাকরণ হলে এই ভাইরাসের হাত থেকে অনেকটাই সুরক্ষিত থাকবেন তিনি।
এসএন