শতকোটি টাকা ব্যয়ে মাত্র ৪ বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে নির্মিত ৫০৪ মিটার দৈর্ঘের শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতুর প্রতিরক্ষা বাধে আবারও ধসের ঘটনায় চরম ঝুঁকিতে পড়েছে সেতুটিসহ নিকটস্থ স্কুল মাদ্রাসা, বসতভিটাসহ স্থানীয় জনপদ।
বৃহষ্পতিবার ভোরে গড়াই নদীর বামতীরে সেতুর ভাটিতে গত ১০দিন পূর্বে ধসের ঘটনা ঘটেছিলো ঠিক তারই পূর্বাংশে এই ধসের ঘটনায় নতুন করে প্রায় ৫০ মিটার দৈর্ঘের প্রতিরক্ষা বাধের ক্ষতি হয়েছে। তবে এবারে ধসের ঘটনার সংবাদ পেয়ে সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন। দফায় দফায় ভাঙনের ঘটনায় চরম আতঙ্কে দিন কাটছে স্থানীয়দের।
স্থানীয়দের অভিযোগ শুরু থেকেই ত্রুটিপূর্ণ ডিজাইন এবং নির্মাণ ত্রুটির কারণে সেতুটির বিভিন্ন অংশে একাধিক স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তার সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না নেয়ায় এমন ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
অবিলম্বে তদন্ত করে প্রকৃত সমস্যার উদ্ঘাটনসহ এর প্রয়োজনীয় সমাধান করে সেতুসহ স্থানীয় জনপদকে ঝুঁকিমুক্ত করার দাবি ভাঙ্গন কবলিত দেওয়ান মঞ্জিল মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের।
স্থানীয় বাসিন্দা জামাল দরবেশ হাফিজের অভিযোগ, এমন ঝুঁকির আশঙ্কা জানিয়ে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ইতোপূর্বে একাধিকবার লিখিত আবেদন করেও কোন ফল পায়নি। জরুরী ভিত্তিতে এর সমাধান চাই।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন জানান, বৃহষ্পতিবার ভোরে গড়াই নদীর বামতীর ঘেষা শেখ রাসেল সেতুর ডাউনে সেতু রক্ষা বাধে ধসের সংবাদ পেয়ে জরুরী ভিত্তিতে বালিভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
মুনিয়া