এবার আফগান নারীদের 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' করার নির্দেশ দিয়েছে তালেবান। আফগানিস্তানে দ্বিতীয়বার দখল নেওয়ার পর তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, নারীরাও কাজ করতে পারবে। শরিয়া আইন মেনে তাদের কাজের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে, যত দিন যাচ্ছে ততই মুখ থেকে খসে যাচ্ছে মুখোশ।
বৃহস্পতিবার তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, তালিবানি শাসনে নারীরা বাড়িতেই বেশি সুরক্ষিত থাকবে। তাদের 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী ভারতের গণমাধ্যম এই সময় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার একটি সংবাদ সম্মেলনে জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, নারীদের নিজেদের সুরক্ষার জন্য বাড়িতে বসে কাজ করা উচিত। তিনি আরও জানান, তালেবান বদলাচ্ছে এবং সঠিকভাবে প্রশিক্ষত নয় তারা। অর্থাৎ নারীদের সঙ্গে কাজ করার জন্য সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত নয় তালেবানরা, এমনটাই বলতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় থাকার সময় নারীদের কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেই সময় তাদের বাড়ির বাইরে বের হতে পুরো শরীর ঢেকেই যেতে হত। তালেবান শাসন শেষ হওয়ার পর পুনরায় কর্মক্ষেত্রে যোগ দেয় নারীরা। গেল দুই দশক ধরে সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানেই তারা কাজ করত। আরো একবার তালেবান শাসন ফিরতেই ঘরবন্দি হয়ে পড়ল নারীরা। তার বাইরে যাওয়া এবং কাজ করার উপর ফতোয়া চাপানো হল। ইতোমধ্যে এর নিন্দা শুরু হয়েছে আফগানিস্তানজুড়ে।
সরকারি নারী কর্মীদেরও ঘরবন্দি হয়েই থাকতে হবে। কট্টরপন্থী এই সংগঠন বলছে, পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত সরকারি দপ্তরের নারী কর্মীদের ঘর থেকে বেরোনো যাবে না। স্কুল-কলেজে কো-এডুকেশন বন্ধ করার পর একেই দ্বিতীয় তালেবানি ফতোয়া বলে মনে করা হচ্ছে।
এসএন