আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

পরিচয় মিলল ১৭ মরদেহের, পরিবারের কাছে হস্তান্তর

পরিচয় মিলল ১৭ মরদেহের, পরিবারের কাছে হস্তান্তর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লইস্কা বিলে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে একটি নৌকাডুবি গেছে। এ ঘটনায় রাত ১২টা পর্যন্ত ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ১৭ জনের নাম-পরিচয় শনাক্ত করেছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি ১৭টি মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত ১৭ জনের মধ্যে একজন যুবক ছাড়া বাকি সবাই নারী ও শিশু। নিহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের পৈরতলা এলাকার আবু সাঈদের স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫৫) ও ফারুক মিয়ার স্ত্রী কাজলা বেগম, দাতিয়ারা এলাকার মোবারক মিয়ার মেয়ে তাসফিয়া মিম (১২), সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের সাদেরকপুর গ্রামের মুরাদ হোসেনের ছেলে তানভীর (৮) ও চিলোকুট গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার শিশু কন্যা তাকুয়া (৮)।

এ ছাড়া নরসিংসার গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে সাজিম (৭), ভাটপাড়া গ্রামের ঝারু মিয়ার মেয়ে শারমিন (১৮), বিজয়গর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে আরিফ বিল্লাহ (২০), বেড়াগাঁও গ্রামের মৃত মালু মিয়ার স্ত্রী মঞ্জু বেগম (৬০), জজ মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪৭) এবং তার মেয়ে মুন্নি (১০) ও আব্দুল হাসিমের স্ত্রী কমলা বেগম (৫২), নূরপুর গ্রামের মৃত রাজ্জাক মিয়ার স্ত্রী মিনারা বেগম (৫০), আদমপুর গ্রামের অখিল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জনী বিশ্বাস (৩০) ও পরিমল বিশ্বাসের মেয়ে তিথিবা বিশ্বাস (২) এবং ময়মনসিংহের খোকন মিয়ার স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের (৪৫)। বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়ন বাদেহাড়িয়া কামাল মিয়ার শিশু মেয়ে মাহিদা আক্তার (৬), একই উপজেলার মনিপুরের মৃত আব্দুল বারীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৫৮) নিহত হয়েছেন।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চলছে নিহতদের শনাক্তের কাজ। সেখানে মরদেহ শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন জানান, জেলা সদর হাসপাতালে মরদেহগুলো নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করতে এখানে এসেছেন। শনাক্তের পর মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে।

এর আগে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেলের দিকে উপজেলার লইস্কা বিলে এ ঘটনা ঘটে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান,  ‘নৌকা ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশুর মরদেহ রয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। রাতে উদ্ধার কাজে কিশোরগঞ্জ থেকে ডুবুরি দল যোগ দিয়েছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান জানিয়েছেন,  ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নৌকা ডুবির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নিহত প্রত্যেক পরিবারকে লাশ দাফনের জন্য ২০ করে হাজার টাকা দেওয়া হবে।’

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন পরিচয় | মিলল | ১৭ | মরদেহের | পরিবারের | কাছে | হস্তান্তর