মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচে নিউজিল্যান্ডে বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় পেলো টাইগাররা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টম ল্যাথাম। ৬০ রানেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড শিবির।
বাংলাদেশ দল ৩০ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয়।ইতিহাস রচনার দিনে সাকিবের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ২৫ রান।
মুশফিক ২৬ বলে ১৬ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২২ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। মোহাম্মদ নাঈম ১ রান ও লিটন দাস ১ রান করেন।
অপরদিকে, ইনিংসের শুরুতেই অফ-স্পিনার মাহেদি হাসানের হাতে বল তুলে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
ইনিংসের তৃতীয় বলেই দলকে উইকেট শিকারের আনন্দে নাচিয়ে তোলেন মাহেদি। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা রাচিন রবীন্দ্রকে খালি হাতে বিদায় দেন তিনি।
দ্বিতীয় ওভারেও আক্রমনে আরেক স্পিনার নাসুম আহমেদকে আনেন মাহমুদুল্লাহ। নাসুম কোন সাফল্য না পেলেও পরের ওভারে সাকিব আল হাসান সফল হন। দুর্দান্ত ডেলিভারিতে উইং ইয়ংকে বোল্ড করেন সাকিব। ১টি চারে ৫ রান করেন তিন নম্বরে নামা ইয়ং।
নিজের প্রথম ওভারে উইকেট নিতে না পারলেও, দ্বিতীয় ওভারে জোড়া আঘাতি হানেন নাসুম । কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে ১ ও টম ব্লান্ডেলকে ২ রানে থামান নাসুম। এতে ৪ ওভার শেষে ৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে নিউজিল্যান্ড।
এ অবস্থায় দলকে বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করেন অধিনায়ক লাথাম ও হেনরি নিকোলস। সর্তকতার সাথে খেলে স্ট্রাইক বদলেই মনোযোগ ছিলো তাদের। উইকেটে টিকে থাকতে গিয়ে ১০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের রান উঠে মাত্র ৪০ রান। এসময় প্রথম তিন স্পিনারসহ, মাহমুদুল্লাহ, মুস্তাফিজও লাথাম-নিকোলস জুটি ভাঙ্গতে পারেননি।
১১তম ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমনে এসেই উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ২৫ বলে ১টি চারে ১৮ রান করা লাথাম শিকার হন সাইফুদ্দিনের। একই ওভারে নিকোলসের বিদায়ও নিশ্চিত করেন সাইফুদ্দিন। ২৪ বলে ১টি চারে ১৭ রান করেন নিকোলস।
মাঝে ১২তম ওভারে নিউজিল্যান্ডের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা কোল ম্যাককঞ্চিকে খালি হাতে বিদায় দেন সাকিব। এতে ৪৯ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এক পর্যায়ে সংক্ষিপ্ত ভার্সনে সর্বনি¤œ রানে গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে কিউইরা। সেই শঙ্কাই শেষ পর্যন্ত সত্যিই হয়।
১১ রানের মধ্যে শেষ ৩ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৫ ওভারে ৬০ রানে থামে কিউই ইনিংস। নিজেদের টি-টুয়েন্টি ইতিহাসে এটিই সর্বনি¤œ স্কোর নিউজিল্যান্ডের। তবে এর আগেও একবার এই ৬০ রানেই অলআউট হয়েছিলো কিউইরা। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে বিশ্বকাপের ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৬০ রানে অলআউট হয়েছিলো তারা।
নিউজিল্যান্ডের শেষ তিন উইকেট উইকেটই পকেটে ভরেছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ। ১৩ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া নাসুম-সাকিব-সাইফুদ্দিন ২টি করে উইকেট নেন। মাহেদি নেন ১ উইকেট।