আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

নদীভাঙনে দিশেহারা মানুষ

নদীভাঙনে দিশেহারা মানুষ

ক্রমেই বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে, বিভিন্ন জেলায়। এতে নদীর তীরবর্তী কয়েক লাখ মানুষ খাবার এবং বিশুদ্ধ পানির সংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দুর্গত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে, পানিবাহিত নানা রোগ। তীব্র নদী ভাঙনে আতঙ্কে আছেন মানুষ।

ফরিদপুরে পদ্মার পানি বেড়ে বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে, সাতটি উপজেলার ৫০ হাজার মানুষ পরিবার পানিবন্দী দিন কাটাচ্ছেন। গাইবান্ধায় ১শ’ ৬৫টি চরের ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় রান্নার অবস্থা না থাকায় খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগ। জেলার ২৫টি পয়েন্টে তীব্র নদী ভাঙন চলছে। লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দী আছে, সিরাজগঞ্জে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি বছর পানির স্তরের উচ্চতা বাড়ার হার তিন সেন্টিমিটার। ফলে তীব্র ভাঙনের কবলে পড়েছে দেশ। বহু গ্রাম এরই মধ্যে সাগর-নদীতে বিলীন হয়েছে। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে নদীভাঙনে প্রায় ২৮ হাজার মানুষ বাস্তুহারা হতে পারেন। এছাড়া, পানিতে লবণের মাত্রাও বাড়ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে।

পদ্মা ও যমুনার ভাঙনে প্রায় ২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা বিলীন হতে পারে। এছাড়া, পৌনে চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ, ২৪১ মিটার মহাসড়ক, সাড়ে তিন কিলোমিটার জেলা ও দেড় কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নদীতে বিলীন হতে পারে। পাশাপাশি এসব এলাকায় অবস্থিত শত শত দোকানপাট, বসতবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার এমনকি হাসপাতালও রয়েছে হুমকির মুখে। টাঙ্গাইলের ১২ টি উপজেলার মধ্যে আটটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে জেলার পাঁচশ’র বেশি পুকুরের মাছ। 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন নদীভাঙনে | দিশেহারা | মানুষ