ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ে ইতালি ছাড়া জয় পেয়েছে সবগুলো বড় দল। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে আজ্জুরিরা। অ্যান্ডোরাকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। জর্জিয়াকে ৪-০ গোলে স্পেন, আর্মেনিয়াকে ৬-০ গোলে হারিয়েছে জার্মানি।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে 'আই' গ্রুপের ম্যাচে অ্যান্ডোরার বিপক্ষে ম্যাচটা ছিলো ইংলিশ কোচ সাউথগেটের জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষার। পুরোপুরি ভিন্ন একাদশ দেখা গেলো এ ম্যাচে। ইংল্যান্ডের ইতিহাসে যা ১৯৮২ সালের পর প্রথমবার।
তাতেও শুরু থেকে আধিপত্য ইংলিশদের। গোল বন্যার শুরু জেসে লিনগার্ডের কল্যাণে। ১০২২ দিন পর গোলের দেখা পেলেন এই মিডফিল্ডার। ৮৯ শতাংশ বল দখলে রাখলেও প্রথমার্ধে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বদলি নামা হ্যারি কেইন। জোড়া পূর্ণ করেন লিনগার্ড। শেষ দিকে বুকায়ো সাকার গোলে ৪-০ ব্যবধানের জয় দিয়ে ৫ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে ইংল্যান্ড। বাছাইপর্বে এখনো কোন গোল হজম করেনি থ্রি লায়ন্সরা।
এদিকে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে হারের অভিজ্ঞতা ভুলতে জর্জিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত স্পেন। জয়ের সঙ্গে 'বি' গ্রুপের শীর্ষেও ফিরলো লুইস এনরিকের দল।
প্রথমার্ধে জর্জিয়ার জালে তিন গোল। স্কোরশিটে নাম তোলেন হোসে গায়া, কার্লোস সলের ও ফেরান তোরেস। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ধার কমে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। তারপরও পাবলো সারাবিয়ার গোলে ব্যবধান হয় ৪-০।
গোলে উৎসবে মেতেছিলে জার্মানিও। আর্মেনিয়ার জালে তারা দিয়েছে গুণে গুণে ৬ গোল। গ্যানাব্রির পা থেকে আসে জোড়া গোল। মার্কো রোস, টিমো ভেরনার, ইয়োনাস হফমান ও করিম আদেইয়েমি করেন একটি করে গোল। পাঁচ ম্যাচে ৪ জয়ে ১২ পয়েন্ট নয়ে জে গ্রুপের শীর্ষে জার্মানি। প্রথম হারে ১০ পয়েন্টে থকা আর্মেনিয়া নেমে গেছে দুইয়ে।
বড় দলগুলোর মধ্যে একমাত্র ইতালি জয় বঞ্চিত। 'সি' গ্রুপের ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে গোল শূন্য ড্র করেছে রবার্তো মানচিনির দল। জিততে না পারলেও অনন্য এক রেকর্ড গড়েছে আজ্জুরিরা। সবচেয়ে বেশি ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকা ব্রাজিলের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে।
আক্রমণে এগিয়েই ছিলো ইতালি। গোলের সহজ সুযোগও এসেছিলো। কিন্তু পেনাল্টি মিস করলেন জর্জিনিয়ো। ইউরোর ফাইনালেও টাইব্রেকার শট মিস করেছিলেন তিনি। ড্র করেও গ্রুপের শীর্ষে ইউরো চ্যাম্পিয়নরা।
এস