উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। দিনাজপুর জেলায় নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জ বাজারের জামে মসজিদটি নির্মাণ করছেন দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক ও তাঁর পরিবার। শিল্পীর নিপুণ শৈলীতে তৈরী হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন নান্দনিক কারুকার্য আর নয়নাভিরাম মসজিদটি। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন আগ্রার তাজমহল।
এটি উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ মসজিদ। ২০১৫ সালে মসজিদটি নির্মাণ কাজ শুরু করেন আর শেষে হতে সময় লাগতে পারে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি টাকার বেশি। ১০ হাজার স্কয়ার ফিটে এই মসজিদে ১৬টি পিলারের উপরে রয়েছে ৩২টি ছোট মিনার। এছাড়াও চার কোনায় সুউচ্চ মূল গম্বুজ আছে। প্রতিটির উচ্চতা ৯৭ ফিট। স্থপতি নন্দন ভাবনাশৈলী ফুটে উঠেছে গম্বুজের ভিতর এবং বাহিরের অংশেও। ভারত, চীন ও ইতালির মার্বেল পাথর, গ্রানাইড ও মূল্যবান কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে এখানে। সাদা মারবেল পাথরের উপরে ফুলদানি, ফুলের ঝাড়, গোলাপ ফুল, চাঁদ তারা, নক্ষত্র ও আরবি কেলোগ্রাফিক লিপি স্থান পেয়েছে মসজিদটির নকশায়। তিনতালার এই মসজিদের নিচে রয়েছে লাইব্রেরী, সেমিনার কক্ষ, ইমাম ও খাদেমের আবাসন ব্যবস্থা। তিন তলাতেই রয়েছে নামাজের ব্যবস্থা। কেন্দ্রীয় ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রীত ও মসজিদের সামনে থাকবে নান্দনিক ফোয়ারা।
মসজিদ নির্মানে কর্মরত মিস্ত্রিরা জানান, মসজিদটি নির্মাণে প্রতিদিন কাজ করছেন ডিজাইনার, টেকনিশিয়ান রাজমিস্ত্রিসহ ৪০ থেকে ৬০ জন। ২০১৫ সাল থেকে তারা এই মসজিদ নির্মাণ কাজে নিয়োজিত আছেন। মসজিদের কাজ শেষ করতে আরো ৪ বছরের মতো সময় লাগতে পারে।
মসজিদ দেখতে আসা কয়েক জন দর্শনার্থীরা জানান, উত্তর বঙ্গে সবচেয়ে বড় মসজিদ এটি। মসজিদটি দেখে তাদের অনেক ভালো লেগেছে। কারণ এটি তাজমহলের মতোই কিছুটা দেখতে।
মসজিদ নির্মাতা দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক জানান, তাজমহলকে অনুসরন করে আফতাবগঞ্জে সুদৃশ্য নান্দনিক আধুনিক স্থাপত্যের সংমিশ্রণে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটির বেশি টাকা ব্যয় হয়েছে। সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে সময় লাগবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। এক বিঘা জমির উপর নির্মিত মসজিদটিতে একসঙ্গে ৫ হাজার মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবেন। চলতি বছরের জুন মাস থেকে মুসল্লিরা জামাতে নামাজ আদায় করছেন।
মুনিয়া
