ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে চোরাই ভ্যানের ২০টি ব্যাটারিসহ সংঘবদ্ধ ৫ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে ফরিদপুর র্যাব-৮ এর একটি দল।
এ ঘটনায় র্যাবের ডিএডি মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের শ্রীনগর গ্রামের বারোয়ারি মন্দিরের পাশ থেকে ওই গ্রামের সরোয়ার মুসল্লীর একটি ভ্যান চুরি হয়। ভ্যান পার্শ্ববর্তী সালথা উপজেলার নটখোলা গ্রামের মো. লিটন কাজীর ছেলে মো. সাব্বির কাজী (১৯) চুরি করে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় সরোয়ার মুসল্লী ওই দিনই ফরিদপুর র্যাব-৮ ক্যাম্পে গিয়ে সাব্বির কাজীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৮ তদন্ত করে চুরির সাথে সাব্বিরের সম্পৃক্ততা পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে সাব্বির ভ্যান চুরির কথা স্বীকার করে। ভ্যানের ব্যাটারি ফরিদপুর কোতোয়ালি থানাধীন গোয়ালচামট মোল্যা বাড়ি সড়কের মো. সোহেল আশরাফ (৫২) এবং মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার ঘাষিপাড়া গ্রামের সুমন বিশ্বাসের (২৪) কাছে বিক্রি করে বলে জানায়। ভ্যানের অবশিষ্ট মালামাল ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানাধীন আইজুদ্দিন মাতুব্বর ডাঙ্গীগ্রামের মো. হাশেম শেখ (৫৮) এবং সালথা উপজেলার মো. রাজীব মাতুব্বরের (২০) নিকট বিক্রি করে। এরপর গত ১৫ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে উল্লিখিত চার আসামিকে র্যাব-৮ এর একটি দল গ্রেপ্তার করেন। এ সময় সোহেল আশরাফের দোকান মেসার্স রতন সাইকেল মার্ট থেকে ব্যাটারিচালিত ভ্যান গাড়ির ২০টি ব্যাটারি এবং শেখ হাশেমের বসতঘর থেকে ভ্যান গাড়ির বডি, মোটর উদ্ধার করা হয়। তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে।
এ ঘটনায় র্যাবের ডিএডি মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার রাতে ওই পাঁচজনকে আসামি করে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেন।
বোয়ালমারী থানার ওসি (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিন বলেন, চোরাই ব্যাটারী এবং অটোভ্যান কেনার অভিযোগে র্যাবের দায়েরকৃত মামলায় আসামিদের বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মুনিয়া