গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে আরও আটজন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে এরা মারা যান।
এদিন করোনায় কুষ্টিয়া থেকে আসা একজন রোগী মারা গেছেন। এ ছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন রাজশাহীর তিনজন, নওগাঁর দুজন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরের একজন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে করোনা সংক্রমণে একজন এবং করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে সাতজনমারা গেছেন। এই এক দিনে চারজন মারা গেছেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ)। এ ছাড়া ৩ ও ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন করে মারা গেছেন।
এদিকে ২৪০ শয্যার করোনা ইউনিটে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ১২৩ জন। এক দিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ১২২। বর্তমানে রাজশাহীর ৫৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৫ জন, নাটোরের ১৫ জন, নওগাঁর ১০ জন, পাবনার ১৩ জন, কুষ্টিয়ার একজন, চুয়াডাঙ্গার একজন, সিরাজগঞ্জের একজন এবং মেহেরপুরের দুজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ২৩ জন। করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৬৫ জন। করোনা ধরা পড়েনি ভর্তি ৩৫ জনের। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৫ জন। এই এক দিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৫ জন।
এর আগে মঙ্গলবার রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ১৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ১৮ জনের নমুনায়। একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরও ২৮১ জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ জনের। পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ, জয়পুরহাটের ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি সেপ্টেম্বরের এই ২২ দিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১৩৬ জন। এর মধ্যে করোনায় ৪২ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ৮৪ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ৯ জনের মৃত্যু হয়।
এর আগে গত আগস্ট মাসে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৩৭৪ জন। এর মধ্যে করোনায় ১৫৪ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ১৮৬ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।
মুক্তা মাহমুদ