প্রধানমন্ত্রীর তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন চলতি বছরের শেষ নাগাদ দেশে ৫জি সেবা চালু করা হবে।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিজনেস রাউন্ড টেবিলে তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী ‘বাংলাদেশ ফরোয়ার্ড: দি নিউ ফ্রন্টিয়ার ফর গ্রোথ’শীর্ষক রাউন্ড টেবিলে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
বিজনেস রাউন্ড টেবিলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে পরীক্ষামূলকভাবে আমাদের দেশে ৫জি প্রযুক্তি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। যেহেতু সরকার শেষ প্রান্তের মানুষের কাছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ, সে হিসেবে বাংলাদেশের সক্ষমতা রয়েছে এবং ব্যান্ডউইথের ঘাটতিও নেই। আমাদের প্রচুর সক্ষমতা ও অপটিক্যাল ফাইবার রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শেষ প্রান্তের ব্যবহারকারীরা ফিক্সড লাইনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না। তারা মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এ জন্য আমরা স্পেকট্রাম ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা ঘাটতির চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি। ঘন-জনবসতির কারণে আমাদের ব্যাপক জায়গায় এ সংযোগ দিতে হবে এবং অতিরিক্ত সংযোগ নিলামের মাধ্যমে দিতে হবে। এ জন্য আমরা মোবাইল অপারেটরদের জন্য অধিক স্পেকট্রাম অবাধ করে দিচ্ছি।’
দেশে ৪জি চালু রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আশা করছি অতিরিক্ত স্পেকট্রাম ব্যবহার করে মোবাইল অপারেটরগুলো দুর্গম এলাকায় ৪জি চালু করতে পারবে। একত্রে ৪জি ও ৫জির মাধ্যমে আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
আরও কিছু ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমও পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এদের মধ্যে একটি হচ্ছে আইডিপিপি, ফলে দেশে আন্তঃসংযোগের জন্য এমএফএস করা সম্ভব হবে বলেও জানান সজীব ওয়াজেদ জয়।
এস