দুই বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে দণ্ডিত দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর হবে আগামী সোমবার। আসামিরা হলেন- আজিজুল ওরফে আজিদ ওরফে আজিজ ও মিন্টু ওরফে কালু।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের ফাঁসি কার্যকরের জন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ফাঁসির জন্য কারাগারের জল্লাদ মশিয়ার, কেতু কামালসহ বেশ কয়েকজনের প্রশিক্ষণ চলছে। এ ছাড়া ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুতসহ ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজিজ আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের বদর ঘটকের ছেলে এবং মিন্টু একই গ্রামের আলী হিমের ছেলে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা থানার জোড়গাছা গ্রামের কমেলা খাতুন ও তার বান্ধবী ফিঙ্গে বেগমকে ২০০৩ সালে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।
পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথমে তাদের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা কাটা হয় ওই দুই নারীর। এ ঘটনায় কমেলা খাতুনের মেয়ে নার্গিস বেগম আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ওই দুজনসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর দুজন হলেন— একই গ্রামের সুজন ও মহি। তাদের মধ্যে মারা যান আসামি মহি আর খাস পান সুজন।
২০০৭ সালের ২৬ জুলাই চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সুজন, আজিজ ও মিন্টুকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। এর পর আসামিপক্ষের লোকজন হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১২ সালে ১১ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ দুই আসামির রায় বহাল রাখেন এবং অপর আসামি সুজনকে খালাস দেন।