লাখ লাখ মানুষের জীবনের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিলাম। ১৯৯০ সালে একটি গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে দিয়েছিল। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। নব্বইয়ের মতো আরেকটি গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত করতে হবে। বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ রোববার (১০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে রাজধানীর পল্টনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন নাজির উদ্দিন জেহাদ।
মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি বলেন, আজ একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জেহাদ যে কারণে রক্ত দিয়েছিল, সেই গণতন্ত্রকে আজ আমাদের কাছ থেকে হরণ করে নেওয়া হয়েছে। আমাদের অর্জনগুলো কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি আন্দোলনে আমাদের ছাত্ররাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে যেমন আমানউল্লাহ আমানরা তাদের দায়িত্ব পালন করে সফল হয়েছিলেন, ঠিক একইভাবে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ছাত্ররাই সফল হয়েছিল। এমনকি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র-যুবকরাই জয়ী হয়েছিল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা যে ভালো জিনিসগুলো লাভ করেছিলাম, তা এ দানবীয় সরকার কেড়ে নিয়েছে। এ সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। আদালতকে ব্যবহার করে ২০১২ সালে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে। তারপর বেআইনিভাবে প্রায় ১৪ বছর ধরে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ আজ লিখতে পারেন না, কথা বলতে পারেন না। বিদেশ থেকে কনক সারোয়ার কিছু সত্য কথা বলেন, আপনারা সবাই তার নাম জানেন। সর্বশেষ তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা লন্ডনে ২৬টি স্যুটকেস নিয়ে গেছেন। এ কথা বলার পর কনক সারোয়ারের বোনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার ও নির্যাতন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাকে যদি বাঁচতে হয়, আমাদের দেশকে যদি বাঁচিয়ে রাখতে হয়, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের অর্জন, নব্বইয়ের অর্জন যদি ফিরিয়ে আনতে হয়- তবে অবিলম্বে শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে হবে। পরিষ্কারভাবে বলতে হবে- সরে দাঁড়াও, সরে যাও।