মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় দ্রুত বিচার ট্র্যাইবুনালের বিচারক অনুপ কুমার সাহা এ রায় প্রদান করেন। দীর্ঘ ১০ বছর পর এ হত্যা মামলার রায় দেয়া হলো। একই সাথে অপর ৯জন আসামীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মাহাবুর রশিদ রেন্টু, ইসমাইল হোসেন, রিংকু, সাজ্জাদ হোসেন সাজু ও আমজাদ হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক জানান, মামলায় ১৪ জন আসামী ছিল। এরমধ্যে হত্যাকাণ্ডের সাথে পাঁচজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অন্যদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আসামীদের স্বাীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, সুরতাল রিপোর্ট ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণে এই পাঁচজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, রাজশাহীর বাগমারার মাদারীগঞ্জের আজিজ মাস্টারের ছেলে মুক্তারে সঙ্গে এশার উদ্দিনের ছেলে রাজুর গভীর সখ্যতা ছিলো। এই সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে বাগমারার মাদারিগঞ্জের মাহাবুর রশিদ রেন্টু রাজুকে তার সঙ্গে মিশতে নিষেধ করেন। তা না শোনায় বাগমারার মাদারিগঞ্জ বাজারে রাজুর স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে গিয়ে রেন্টুর লোকের ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা রাজুকে মারধোর করে দোকানে ভাঙচুর চালায়। পরে রাজু আদালতে মামলা করলে সেই মামলা তুলে নিতে চাপ দেয় বাদি। এক পর্যায়ে রাজু হুমকির ভয়ে মাদারীগঞ্জ ছেড়ে রাজশাহী নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় বসবাস করতে শুরু করে। সেই এলাকায় খুঁজে বের করে রেন্টু নগরীর দড়িখরবোনা এলাকার ভাড়াটে লোক দিয়ে ২০১০ সালের মার্চ মাসের ১৫ তারিখে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে।