কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনও আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এসব প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় প্রতিবেদনগুলো দাখিল করেছেন। প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করে পরবর্তী আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
এদিকে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি ও ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে নির্যাতনের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে সূত্র জানিয়েছে। ওইদিন সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি।
তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রীকে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণের সত্যতা পাওয়া গেছে। নির্যাতনকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মোট ১১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন ও সঙ্গে শতাধিক পৃষ্ঠার সংযুক্তি জমা দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে রাতভর র্যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ উঠে। এতে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, ইসরাত জাহান মিমি ও হালিমা খাতুন উর্মীসহ কয়েকজন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
পরে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ই ফেব্রুয়ারি একটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে ১৫ই ফেব্রুয়ারি পৃথকভাবে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল ও শাখা ছাত্রলীগ তদন্ত কমিটি গঠন করে। এছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।