আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি যার ভিত্তি বঙ্গবন্ধুই স্থাপন করে যান। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন রাঙামাটির বেতবুনিয়াতে তিনি দেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করেন। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময়ে বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কম ছিলো। কিন্তু একটা দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও গবেষণা কতটা জরুরি তা আমরা উপলব্ধি করি। ফলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আমরা ১২টা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। এ নিয়ে প্রতিবছর বাজেটে আমরা গবেষণা নিয়ে একশো কোটি টাকা বাজেট রাখতাম।
শেখ হাসিনা বলেন, বিজ্ঞান ও গবেষণা জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। শুধু নিজের দেশে নয়, বিদেশ থেকে জ্ঞান আহরণ করে দেশের উন্নয়নেও যেন ভূমিকা রাখতে পারে সে ব্যবস্থাও করেছে আওয়মী লীগ সরকার।
তিনি আরও বলেন, নভোথিয়েটার করতে গিয়ে খালেদা জিয়া আমার নামে দুইটা মামলা দিয়েছিলেন। সেগুলো কেন এবং কী কারণে আমি জানি না। যে কাজই করতে গিয়েছি সে কাজেই আমাকে মামলা দেয়া হতো। আমি মনে করি দেশে যত বেশি গবেষণা হবে তত বেশি উন্নয়ন হবে আমাদের। আমরা বলেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ করবো আমরা সেটা করেছি।
প্রধামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সে সময়ের বাজেটে শিক্ষার জন্য ২১ শতাংশ বরাদ্দ রাখেন। আমাদের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. কুদরত ই খুদার নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন গঠন করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শিক্ষাক্ষেত্রের ব্যয়কে দেশের বিনিয়োগ হিসেবে দেখতেন। তিনি ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করেন। কৃষি, বিজ্ঞান, গবেষণা ও উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ তিনি নিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭৪ সালে আনবিক শক্তি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন।