গা শিউরে উঠলেও ঘটনা সত্যি। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্থানে।
প্রেম করে বিয়ে করায় দুই মেয়ে, এক জামাই ও চার নাতিকে পুড়িয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে পাকিস্থানের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
পাঞ্জাবের মোজাফ্ফরগড় জেলায় এ ঘটনা ঘটে।
মঞ্জুর হোসেন নামে পাষণ্ড এই বাবা আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে তাদের হত্যা করে।
নিহত ওই দুই মেয়ের একজন তার বাবার অর্থাৎ অভিযুক্ত ব্যক্তির মতের বাইরে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন।
পাঞ্জাবের পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিটি পলাতক রয়েছেন এবং তাকে আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম মঞ্জুর হোসাইন। তার হত্যাকাণ্ডের শিকার দুই মেয়ের নাম ফৌজিয়া বিবি ও খুরশিদ মাই।
দুই বোন তাদের পরিবার নিয়ে ওই গ্রামের একটি বাড়িতে বসবাস করতেন। আগুনে খুরশিদ মাইয়ের স্বামীও মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী, প্রায় ১৮ মাস আগে বাবার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে ভালোবেসে মেহবুব আহমেদকে বিয়ে করেন ফৌজিয়া বিবি। এর পর থেকেই মেয়ের ও বাবার পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ফৌজিয়ার বাবা মনজুর হোসাইনও পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামে বসবাস করতেন।
তবে বাড়ির বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান ফৌজিয়ার স্বামী মেহবুব আহমেদ। পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি জানান, বাড়িতে আগুন লাগার সময় তিনি সেখানে ছিলেন না। খুব সকালে কাজ থেকে ফিরে বাড়িতে আগুন দেখতে পান তিনি।
মেহবুব আহমেদ জানান, আগুনে পুড়ে ফৌজিয়ার পাশাপাশি তার চার মাস বয়সি ছেলেসন্তানও মারা গেছেন। এ ছাড়া ২, ৬ ও ১৩ বছর বয়সি খুরশিদ মাইয়ের তিন শিশুসন্তানও মারা গেছেন আগুনে পুড়ে।
তথ্যসুত্র: সাউথ চায়না পোস্টের।
মুক্তা মাহমুদ