আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ: চলছে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার কাজ

অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ: চলছে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার কাজ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। রোববার (৫ মার্চ) সকালে এ উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এর আগে শনিবার (৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রথম দিনের উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। জানা গেছে, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসূল এলাকার সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জন নিহত ও প্রায় ৩৩ জন আহত হয়েছেন। তবে আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটিতে পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি ও বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রতিনিধিকে সদস্য করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, বিস্ফোরণের পর সৃষ্ট হওয়া আগুন এক ঘণ্টা ১০ মিনিটের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিকট শব্দে বিস্ফোরণে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। এতে পাশে থাকা বিভিন্ন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতো কিছুর পরও কারখানার মালিকপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। উদ্ধার অভিযানে মালিকপক্ষের কেউ সহায়তা করেনি। তথ্য দেয়ার জন্য ঘটনাস্থলেও তাদের কেউ আসেননি। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) মো. আব্দুল হালিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কারখানাটিতে অক্সিজেন উৎপাদন করা হয় এবং সিলিন্ডার রিফিল করা হয়। দুটি কারণে বিস্ফোরণ হতে পারে। এরমধ্যে একটি হচ্ছে যান্ত্রিক ত্রুটি। ব্যবস্থাপনার কারণেও দুর্ঘটনা হতে পারে। তদন্ত শেষে স্পষ্ট করে বলা যাবে।  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন অক্সিজেন | প্ল্যান্টে | বিস্ফোরণ | চলছে | দ্বিতীয় | দিনের | উদ্ধার | কাজ