ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান তার পরিবার এবং চাকরি জীবন ক্ষতিগ্রস্ত করার আশংঙ্কায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
সোমবার (৬ মার্চ) নবাবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন বলে জানায় ইউএনও। জিডি নম্বর-(২৬৮)।
জিডিতে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নবাবগঞ্জের হযরতপুর মৌজার অর্পিত সম্পত্তি ব্রজ নিকেতন দখল মুক্ত করার পর সেখানে পালিত মালিকবিহীন হরিণগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় বন বিভাগে হস্তান্তর করি। তার আগে জানতে পারি জনৈক খন্দকার আবুল হোসেন কর্তৃক প্রাপ্ত হরিণ পালনের লাইসেন্স বিগত (২২ জানুয়ারি) তারিখে স্থগিত করা হয়।
তিনি লাইসেন্স স্থগিত সিদ্ধান্তের পূণর্বিবেচনা চেয়ে সচিব, পরিবশে, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বরাবর আপিল আবেদন দায়ের করেন। গেলো (৫ মার্চ) বিকাল ৩টায় সচিব মহোদয়ের অফিস কক্ষে আপিল শুনানিতে আমি সরকার পক্ষে উপস্থিত ছিলাম। শুনানির এক পর্যায়ে খন্দকার আবুল হোসেন ব্যক্তিগতভাবে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। আমি কীভাবে নবাবগঞ্জে চাকরি করি সেটা দেখে নেবেন এবং ভবিষ্যতে আমার ক্ষতি করবেন বলে প্রকাশ করেন। এসময় ওই মন্ত্রনালয়ের উপসচিব দীপক কুমার চক্রবর্তীসহ বন বিভাগের শুনানি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তীতে জানতে পারি খন্দকার আবুল হোসেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক ও নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবুল কালামের সহোদর। বিএনপি নেতা তার দুই একাধিক ফৌজদারী মামলার আসামি। তারা আমার পরিবার, ব্যক্তিগতভাবে এবং চাকরি জীবনে ক্ষতিগ্রস্থ করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।