বিচার সালিশের রায় বিপক্ষে যাওয়ায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সালিশি বৈঠকের বিচারককে কুপিয়ে গুরুতর জখমের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার ৯ দিন অতিবাহিত হলেও আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
আহতরা হলেন, উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের পাড়াগাঁও এলাকার মৃত নুর ইসলামের ছেলে ফজলুল হক (৫০) ও তার ভাই সামসুল হক (৪৮)।
আহত সালিশি বৈঠকের বিচারক ফজলুল হকের ছেলে ও মামলার বাদী ফেরদৌস ভুইয়া জানান, বড়ালু পাড়াগাঁও এলাকার নুর আলম ও স্বাধীনদের মধ্যে বিরোধের বিষয়ে গেলো ১ মার্চ বিকালে নুর আলমের বাড়িতে মিমাংসা করার লক্ষ্যে বিচার শালিসে বসেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। তার বাবা ফজলুল হক ছিলেন বিচারের সভাপতি। ওই বিচারে নুর আলমের বিপক্ষে রায় চলে যায়।
ফজলুল হকের ছেলে বলেন, এ সময় নুর আলমসহ তার বাড়িতে থাকা শাহিন ভূঁইয়া, শাকিল ভূঁইয়া, আসিফ, ইউনুছ, শিমুলসহ অজ্ঞাত ৫-৬ জন মিলে আমার বাবা ফজলুল হকের উপর হামলা চালায়।
তাদের কাছে থাকা দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ফজলুল হককে গুরুতর জখম করে। এসময় ফজলুল হকের ভাই সামসুল হক এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা তাকেও পিটিয়ে জখম করে। তাদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তার বাবা ফজলুল হক ও চাচা সামসুল হককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তার বাবা ফজলুল হক ও চাচা সামসুল হককে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। তারা দুইজনেই পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, এ ঘটনায় আহত ফজলুল হকের ছেলে ফেরদৌস ভুইয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।