আর্কাইভ থেকে অপরাধ

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের পরিচালক গ্রেপ্তার

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের পরিচালক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার দ্বিতীয় আসামি পারভেজ হোসেন সন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে শিল্প পুলিশ। তিনি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মো. সোলায়মান মামুন উদ্দিন। তবে তাকে কখন কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক কিছু জানাতে রাজি হননি তিনি। চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীর নিজ কার্যালয়ে বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টায় সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান তিনি। সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের দুদিন পর ১৬ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন ওই ঘটনায় নিহত এক শ্রমিকের স্ত্রী। মামলায় কারখানা মালিক তিন ভাই মো. মামুন উদ্দিন, পারভেজ হোসেন সন্টু এবং মো. আশরাফ উদ্দিন বাপ্পি ছাড়াও কারখানার ১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। মালিক পক্ষের তিন ভাইয়ের মধ্যে মামুন উদ্দিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাকি দুজন পরিচালক হিসেবে রয়েছেন। মামলার এজাহারনামীয় বাকি আসামিরা হলেন- ম্যানেজার আব্দুল আলীম, অপারেটর ইনচার্জ শামসুজ্জামান শিকদার, অপারেটর খুরশিদ আলম, অপারেটর সেলিম জাহান, নির্বাহী পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন, অফিসার সামিউল ও শান্তনু রায়, সুপারভাইজার ইদ্রীস আলী, সানাউল্লাহ, সিরাজ উদ-দৌলা, রাকিবুল এবং রাজিব। মামলায় এছাড়াও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের অজ্ঞাত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আসামি করা হয়েছে। চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডে কদম রসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে ৪ মার্চ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পরপরই প্ল্যান্ট ও পাশের তিনতলা অফিস ভবনে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বিস্ফোরণে প্ল্যান্টের পাশে অফিস ভবনসহ আশপাশের কয়েক শ’ ভবনের কাঁচের দরজা-জানালা ভেঙে পড়ে। ধসে পড়ে অফিস ভবনের ইটের দেয়াল। তাছাড়া বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে ওঠে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা। আধ কিলোমিটার দূরেও ছিটকে পড়ে অসংখ্য লোহার টুকরো। স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও ২৫জন। এর বাইরেও আহত অনেকে ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কানে কম শুনছেন কদমরসুল এলাকার অর্ধশতাধিক মানুষ। নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সীতাকুণ্ডে | বিস্ফোরণ | সীমা | অক্সিজেন | প্ল্যান্টের | পরিচালক | গ্রেপ্তার