আর্কাইভ থেকে পরামর্শ

বিশ্ব নিদ্রা বা ঘুম দিবসের ইতিহাস

বিশ্ব নিদ্রা বা ঘুম দিবসের ইতিহাস
ঘুমের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতেই পালন করা হয় বিশ্ব নিদ্রা বা ঘুম দিবস। রোজকার কাজের পর বিশ্রাম না নিলে শরীর ঠিকমতো কাজ করে না। মাথাও কাজ করতে চায় না। তাই ঘুম খুবই জরুরি। কীভাবে এই দিনটি পালন করা শুরু হল? দেখে নেওয়া যাক, সেই ইতিহাস। বছরে দুটো দিন সূর্য নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে সূর্যরশ্মি ফেলে। বসন্ত কালে সেই দিনটি যেদিন, তার আগের শুক্রবার পালন করা হয় বিশ্ব নিদ্রা বা ঘুম দিবস। সে হিসেবে এই বছর ১৭ মার্চ বিশ্ব নিদ্রা দিবস। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে এই দিনটি ১৫ মার্চ পালন করা হবে। ওয়ার্ল্ড স্লিপ সোসাইটির তরফেই এই দিনটি পালন করা শুরু হয় প্রথম। আমাদের রোজকার কাজের মধ্যে যেটি সবচেয়ে কম গুরুত্ব পায়, তা হল ঘুম। তাই একটি দিন শুধু ঘুমকে গুরুত্ব দিয়েই উদযাপন করা হয়। বিশ্ব নিদ্রা দিবসে শুধু ঘুমের গুরুত্ব নিয়ে সচেতন করা হয়, তা নয়। বরং ঘুমের সমস্যার উপরেও বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়। কেন ঘুমের সমস্যা হতে পারে, কোন সমস্যা বড় রোগের আকার নেয়, সে নিয়েও সচেতন করা হয়। ২০০৮ সালে প্রথম এই দিনটি পালন করা শুরু হয়। ওয়ার্ল্ড স্লিপ সোসাইটিই নিয়েছিল সেই উদ্যোগ। প্রথমে ওয়ার্ল্ড স্লিপ সোসাইটি পরিচিত ছিল ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন ফর স্লিপ মেডিসিন নামে। প্রথম বছরের উদ্যোগ ছিল নিদ্রা রোগের চিকিৎসকদের সঙ্গে একসঙ্গে বসে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা। ২০২৩ সালে ওয়ার্ল্ড স্লিপ সোসাইটি একটি বিশেষ  ভাবনা বেছে নিয়েছে। ১৭ মার্চ বিশ্ব নিদ্রা দিবসে ‘ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি’ এই হল বিশেষ ভাবনা। সে বিষয়েই উদযাপন ও আলোচনা গোটা দিন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বিশ্ব | নিদ্রা | বা | ঘুম | দিবসের | ইতিহাস