হঠাৎ করেই বিএনপিকে মতবিনিময়ের আহ্বান জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দেয়া চিঠি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে আলোচনা। তবে এরই মধ্যে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা বা সংলাপে না বসার আগের সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথা জানিয়ে দিয়েছে দলটি। তবু নির্বাচন কমিশনের হঠাৎ এ আমন্ত্রণ নিয়ে অনেকের মধ্যে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।
অবশ্য আগামী নির্বাচন নিয়ে মতামত জানতে বিএনপিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, সেটি আকস্মিক নয় বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব। শনিবার (২৫ মার্চ) গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপিকে নির্বাচন কমিশনের চিঠি দেয়া প্রসঙ্গে ইসি মো. আহসান হাবিব খান বলেন, বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে হয়নি। কমিশন সার্বিকভাবে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগেও বিএনপিকে একাধিকবার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
তিনি বলেন, বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের কথা অনুধাবন করে আলোচনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আসছে। ইসি মনে করে বিএনপির মত নিবন্ধিত অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক না হোক অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় হতেই পারে।
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে যাবে। তাই আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে অর্থবহ করার জন্য বিএনপিকে অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় এবং আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছারই বহিঃপ্রকাশ।
প্রসঙ্গত, গেলো বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) আলোচনা ও মতবিনিময়ের জন্য বিএনপিকে চিঠি দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। চিঠিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দলীয় অন্য নেতা এবং প্রয়োজনে সমমনা দলগুলোর নেতাসহ আমন্ত্রণ জানানো হয়।
তবে, বরাবরের মতো বিএনপি এ আমন্ত্রণ নাকচ করে দিয়ে জানায়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইসির সঙ্গে আলোচনা করা অনর্থক।