জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় দরিদ্রতম ৪৮টি দেশ সবচেয়ে বেশি পর্যদস্তু। অথচ বিশ্বে কার্বন নিঃসরণে সেগুলোর অবদান মাত্র ৫ শতাংশ। তাদের জন্য ধনী দেশগুলোর কাছে অর্থায়ন চাহিদার আশু স্বীকৃতি দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১ নভেম্বর) স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কোপ২৬ সম্মেলনে ‘সিভিএফ-কমনওয়েলথ হাই-লেভেল ডিসকাসন অন ক্লাইমেট প্রসপারিটি পার্টনারশিপ’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ দাবি করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু দুর্যোগের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা এবং এসবের প্রভাব নাজুক দেশগুলোকে অপূরণীয় ক্ষতির অগ্রভাগে দাঁড় করিয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী খাদ্য, জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এখন বৈশ্বিক ও আন্তঃসীমান্ত সমস্যা। এর মারাত্মক পরিণতি থেকে কোনো দেশই মুক্ত নয়। তাই সমস্যা সমাধানে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে সিভিএফ ও কমনওয়েলথ দেশগুলোকে যৌথ পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি বাস্তবসম্মত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থানীয়ভাবে প্রধান্য দিয়ে সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক আন্তঃসরকারি প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) রিপোর্টের উল্লেখ করেন, যা স্পষ্ট বার্তা দেয়; এই গ্রহ এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে সবাইকে জরুরি ও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।
সিভিএফের চেয়ার শেখ হাসিনা সিভিএফ ও কমনওয়েলথের মধ্যে কার্যকর সহযোগিতার জন্য ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্গমণকারী দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আমাদের প্রচেষ্টায় সমর্থন করার জন্য তাদের বাধ্যবাধকতা’ পূরণ করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের জন্য বাংলাদেশকে প্রায়ই গ্রাউন্ড জিরো বলা হয়। আমাদের দুর্বলতা ও সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অনুকরণীয় উদ্যোগ নিয়েছি। বাংলাদেশ উন্নয়নে স্বল্প-কার্বন পথ অনুসরণ করে জলবায়ুর দুর্বলতাকে সমৃদ্ধিতে রূপান্তরিত করতে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ চালু করেছে।’
এস