আর্কাইভ থেকে জাতীয়

আর একটি স্লিপার, তারপরই পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলবে

আর একটি স্লিপার, তারপরই পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলবে
পদ্মা সেতুর মাওয়া-ভাঙ্গা সংযোগ রেলপথে আগামী সপ্তাহে একটি বিশেষ ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সোমবার (২৭ মার্চ)পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আশা করছি আগামী সপ্তাহে পদ্মা বহুমুখী সেতু হয়ে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে। এর আগে একটি ট্রেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে শরীয়তপুরের পদ্মা সেতু সংযোগ রেলপথে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছিল। আফজাল হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুতে পাথরবিহীন রেললাইন নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর মাত্র একটি স্লিপার বসানো বাকি রয়েছে। এটি বসানো হলেই আগামী ৩০ মার্চ মাওয়া থেকে জাজিরা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। প্রকল্পটি  ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। তিনি আরও বলেন, ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের আওতায় রেলওয়ে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকায় ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন দিয়ে যশোরের সঙ্গে রাজধানীর সংযোগ স্থাপনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, চীনের এক্সিম ব্যাংক ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণ দেবে। চীন সরকার মনোনীত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড চায়না জিটুজি সিস্টেমের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। উল্লেখ্য, প্রকল্পটি শেষ করার পর দেশের মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা এবং পদ্মা সেতুর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল জেলার নতুন এলাকাজুড়ে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। এটির মাধ্যমে ঢাকা-যশোর-খুলনার মধ্যে ২১২.০৫ কিলোমিটার সংক্ষিপ্ত রুট এবং উন্নত পরিচালন সুবিধার বিকল্প রেলপথ সংযোগ স্থাপিত হবে। এটি বাংলাদেশে ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আরেকটি সাব-রুট স্থাপন এবং জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মালবাহী ও বিজি কন্টেননার ট্রেন পরিষেবা চালু করবে। সরকার ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের অনুমোদন দেয় এবং এটি একটি ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আর | স্লিপার | তারপরই | পদ্মা | সেতুতে | ট্রেন | চলবে