আধুনিক বিশ্বের সাথে বাংলাদেশ যাতে তাল মিলিয়ে চলতে পারে সেটি মাথায় রেখেই সকল উন্নয়ন পরিকল্পনা করা হচ্ছে। গেলো এক দশকে পরিবর্তিত বাংলাদেশ আজ বিশ্ব স্বীকৃত। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার (১৫ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অব ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ প্রবর্তন করায় এর ওপর আনীত প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় আমাদের যে সাফল্য, তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আমরা পেয়েছি। টিকা উৎপাদন করে অন্য দেশকে দেয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে। টিকা তৈরিতে যে বাধাগুলো আছে, সেগুলো সরিয়ে দিতে হবে। এটি উন্মুক্ত করতে হবে।
এর আগে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারা অনুযায়ী উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ এ প্রস্তাব আনেন। প্রস্তাবে তিনি উল্লেখ করেন, ‘সংসদের অভিমত এই যে, জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান-বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অব ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’প্রবর্তন করায় জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে ইউনেস্কোকে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ হতে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানানো হোক।’
সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন।
এ ছাড়া সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরও আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন, সরকারি দলের বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আমির হোসেন আমু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ, কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সরকারি দলের নুরুল ইসলাম নাহিদ, ওয়সিকা আয়শা খান, কাজী নাভিল আহমেদ, জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, রুস্তম আলী ফরাজী, মুজিবুল হক চুন্নু, বিরোধী দলের চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, পীর ফজলুর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান খান মেনন এবং বিএনপির হারুনুর রশীদ।