তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা বা আটক করার জন্য পরিচালিত অভিযানে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান অনুমোদন দিয়েছিলেন বলে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের দপ্তর। (সূত্র: বিবিসি)
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অভিযানে সৌদি যুবরাজের যে অনুমোদন ছিল তা তিনটি কারণে বিশ্বাস করা যায়।
কারণ তিনটি হলো: প্রথমত, ২০১৭ সাল থেকে রাষ্টের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর তার নিয়ন্ত্রণ; দ্বিতীয়ত, খাশোগি হত্যায় তার একজন উপদেষ্টার সরাসরি জড়িত থাকা এবং তৃতীয়ত, বাইরের দেশে অবস্থানরত ভিন্ন মতাবলন্বীদের দমনে সহিংস পদেক্ষপ গ্রহণে তার সমর্থন।
২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়। সৌদির একটি কিলিং স্কোয়াড টিম যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
কিন্তু প্রথম থেকেই ওই হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করে আসছিল সৌদি আরব। পরে অবশ্য স্বীকার করতে বাধ্য হয়। এ ঘটনার পর এই প্রথম খাশোগি হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে সৌদি যুবরাজের নাম প্রকাশ করলো যুক্তরাষ্ট্র।
মধ্যপ্রাচ্যের কট্টরপন্থী দেশ সৌদির রাজপরিবারের সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন জামাল খাশোগি। যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত খাশোগি ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর দুপুরে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় কিছু নথিপত্রের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। কনস্যুলেটের ভেতর সৌদি এজেন্টদের একটি দল নৃশংসভাবে হত্যা করে।
খাশোগি হত্যার ঘটনায় ৮ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া তিনজনকে ২৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এ রায় দেয়া হয়।
শেখ সোহান